গাজ়ার খান ইউনুসে গত ১৩ মে এক হাসপাতালের ভূগর্ভস্থ ঘরে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। সেই হামলায় হামাস প্রধান মহম্মদ সিনওয়ার এবং মহম্মদ সাবানেহ খুন হয়েছেন! এমনই দাবি করেছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসের তরফে এখনও এই বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। তবে এরই মধ্যে ইজ়রায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে নিজেদের দাবি আবার এক বার নিশ্চিত করল। কী ভাবে ওই হাসপাতালের ভূগর্ভস্থ আস্তানা ‘ধ্বংস’ করা হয়েছে, তা দেখানো হয়েছে ওই ভিডিয়োতে।
আইডিএফ দাবি করে, হাসপাতালের নীচে একটি গোপন আস্তানা ছিল। সেই আস্তানাই ‘হামাসের যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র’। সেখান থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড’ পরিচালনা করতেন সিনওয়ার, সাবানেহেরা! সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে ওই ভূগর্ভস্থ আস্তানায় পৌঁছোনো সম্ভব। ওই আস্তানা ছিল অনেকটা গোলকধাঁধার মতো। তবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
আইডিএফ নিশ্চিত করেছে, হামলায় ওই হাসপাতালের মূল ভবনের কোনও ক্ষতি হয়নি। শুধুমাত্র সিনওয়ার, সাবানেহদের শেষ করাই লক্ষ্য ছিল বলে জানাল ইজ়রায়েলি সেনা। তারা আরও জানিয়েছে, অভিযান চলাকালীন যাতে কোনও সাধারণ মানুষের ক্ষতি না হয়, সে দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছিল। নেওয়া হয়েছিল উপযুক্ত ব্যবস্থাও। নির্ভুল অস্ত্রের ব্যবহার, আকাশপথে নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য— এই সবের উপর ভিত্তি করেই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। গাজ়ার হাসপাতালগুলিকে ‘সন্ত্রাসবাদী কাজের আস্তানা’ হিসাবে ব্যবহার করে হামাস, এমন দাবি ইজ়রায়েলের।
আরও পড়ুন:
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী আগেই জানান, গাজ়ায় সেনা অভিযানে সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসের প্রধান মহম্মদ সিনওয়ার নিশ্চিত ভাবেই নিহত হয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘বুধবার জেরুজ়ালেমে এক সাংবাদিক বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘আমরা হাজার হাজার জঙ্গিকে খতম করেছি। খুনিদের শীর্ষনেতা দেইফ, হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও নিকেশ করা হয়েছে। আর এখন তো মহম্মদ সিনওয়ারও নিহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে!’’
মহম্মদ সিনওয়ার প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রাক্তন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই। হামাস নেতা ইয়াহিয়ার মৃত্যুর পরে গত অক্টোবরে গাজ়া ভূখণ্ডে হামাস গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান নেতা হয়ে ওঠেন মহম্মদ।