Advertisement
E-Paper

হুয়েই-এর বিরুদ্ধে ‘ট্রেড সিক্রেট’ চুরির অভিযোগ, চিন-মার্কিন সম্পর্কে টানাপড়েন

সোমবার চিনা সংস্থা হুয়েইয়ের বিরুদ্ধে মোট ২৩টি গুরুতর অভিযোগ এনেছে আমেরিকা। তার মধ্যে আছে প্রযুক্তি চুরি, গোপন তথ্য পাচার, বিচারে বাধা, ব্যাঙ্ককে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল তথ্য দেওয়া এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানের সঙ্গে চুপিসাড়ে ব্যবসায়িক লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার মতো অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:২৮
বেজিং-এ হুয়েই সংস্থার একটি বিপণি। ছবি: রয়টার্স।

বেজিং-এ হুয়েই সংস্থার একটি বিপণি। ছবি: রয়টার্স।

পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা হুয়েই-এর বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনল আমেরিকা। মোট ২৬ টি অভিযোগের মধ্যে আছে, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, ব্যাঙ্ক দুর্নীতি এবং নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার মতো বিষয়গুলি। যদিও সব কটি অভিযোগই অস্বীকার করেছে চিনা সংস্থা হুয়েই। এই মুহূর্তে কানাডায় নজরবন্দি এই সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মেং ওয়াংজু। হুয়েই-এর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেজিং। তাঁদের দাবি, চিনা কোম্পানিদের উপর এই মার্কিন জুলুম বন্ধ হোক। পাশাপাশি চিনা সংস্থার সিএফও মেং-এর মুক্তির দাবিও জানিয়েছে তাঁরা।

সোমবারই মার্কিন সরকারের বিচার বিভাগ গুরুতর অভিযোগ আনে চিনা সংস্থা হুয়েই-এর বিরুদ্ধে। গত বছরেই অ্যাপলকে সরিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা হিসেবে উঠে এসেছে হুয়েই। প্রথম স্থানে এখনও স্যামসাং। গত ডিসেম্বরেই হুয়েই সংস্থার মালিকের মেয়ে এবং কোম্পানির সিএফও-কে গ্রেফতার করা হয় কানাডায়। এই মুহূর্তে পায়ে একটি ডিজিটাল যন্ত্র লাগিয়ে তাঁকে আক্ষরিক অর্থেই নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক। তাঁদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই চিনা কোম্পানিগুলিকে অহেতুক হয়রান করছে আমেরিকা। মেং ওয়াংজুর মুক্তির দাবিও জানিয়েছে তাঁরা।

সোমবার চিনা সংস্থা হুয়েইয়ের বিরুদ্ধে মোট ২৩টি গুরুতর অভিযোগ এনেছে আমেরিকা। তার মধ্যে আছে প্রযুক্তি চুরি, গোপন তথ্য পাচার, বিচারে বাধা, ব্যাঙ্ককে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল তথ্য দেওয়া এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানের সঙ্গে চুপিসাড়ে ব্যবসায়িক লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার মতো অভিযোগ। যদিও হুয়েই-এর তরফে সবক’টি অভিযোগই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে তাঁরা জানিয়েছে, ‘ আমেরিকার এই অভিযোগে আমরা অত্যন্ত হতাশ। আমরা কোনও ভুল কাজ করিনি।’ অন্য দিকে আগুনে ঘি ঢেলেছে মেং ওয়াংজুর আইনজীবীর মন্তব্য। তাঁর কথায়, চিন-আমেরিকা টানাপড়েনের জেরেই পণবন্দি করা হয়েছে ওয়াংজুকে।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি করেছে ফেসবুক! অর্ধেক অ্যাকাউন্টই ভুয়ো, দাবি মার্কের বন্ধুর

গত বেশ কয়েক বছর ধরেই উত্তাপ বাড়ছে চিন-মার্কিন সম্পর্কে। এই সপ্তাহেই বহু প্রতীক্ষিত বাণিজ্য আলোচনায় বসছে বেজিং এবং ওয়াশিংটন। সেই বৈঠকের ঠিক আগে অন্যতম বৃহৎ চিনা কোম্পানি হুয়েই-র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সামনে আসায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ল চিন-আমেরিকা বাণিজ্যিক সম্পর্কে উন্নতির ন্যূনতম সম্ভাবনাও।

আরও পড়ুন: এখানেই তো বিল আর মনিকা... ওভাল অফিসে ট্রাম্পের রসালো ইঙ্গিত

United States China Huawei Tech
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy