ঘূর্ণিঝড় হার্ভের দাপটে গত পাঁচ দিন ধরে আবহাওয়া এমনিতেই খারাপ। তা সত্ত্বেও দুই ভারতীয় পড়ুয়া টেক্সাসের ব্রায়ানের উত্তর-পশ্চিমে লেক ব্রায়ানে গত শনিবার কেন সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন, সেটাই ভাবাচ্ছে সবাইকে।
কারণ, ওই লেকে নেমে সে দিন প্রায় ডুবতে বসেছিলেন শালিনী এবং নিখিল ভাটিয়া নামে দুই ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁরা দু’জনেই টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেন। কোনও মতে উদ্ধার করা গেলেও তাঁদের শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ব্রায়ান পুলিশের দাবি, ওই চত্বরে সেই সময়ে নজরদারির দায়িত্বে থাকা পুলিশকে সতর্ক করেন এক ব্যক্তি। বছর কুড়ির দুই ছাত্রছাত্রীকে ওই অবস্থায় দেখে প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু তিনি এক জনকে উদ্ধার করতে পারলেও অন্য জন ভেসে যাচ্ছিলেন। তখনই ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ উদ্ধার করে অন্য জনকে।
শালিনী এবং নিখিল ভাটিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় সেন্ট জোসেফ হসপিটালে। হিউস্টনে ভারতের কনসাল জেনারেল অনুপম রায় পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন। কনস্যুলেটের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার থেকে ভর্তি করানোর পরে নিখিলের শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। তাঁর মা সুমন ভাটিয়া ভারত থেকে এখানে এসে পৌঁছেছেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য, শালিনী এ ক’দিন একই রকম ছিলেন। তবে আজ প্রথম একটু ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। শালিনীর ভাই আগামিকাল ভারত থেকে আসছেন।