জ়া ভূখণ্ডের ছোট্ট মেয়ে রাফিফ। এখনও বুলি ফোটেনি। বাবার কোলে বসে প্রিয় বিস্কুটের প্যাকেটটা হাতে নিয়ে আনন্দে থরথর করে কাঁপছিল। ওর বাবা মহম্মদ জাভেদ এক্স হ্যান্ডলে সেই ভিডিয়ো আর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এখন অনেক দামি এই বিস্কুট (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৩০০ টাকা)। তবু বহু দিন বাদে ওর প্রিয় খাবার খুঁজে পেয়ে আনলাম।’
ভারতে ওই বিশেষ বিস্কুটের প্যাকেটের দাম মাত্র ৫ টাকা। গত দেড় বছর ধরে চলতে থাকা গাজ়া আর ইজ়রায়েলের যুদ্ধ যার মূল্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে নিয়ে গিয়েছে ২৩০০টাকায়।
যুদ্ধদীর্ণ গাজ়ার সীমান্ত আটকে রেখে গত ২ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সেখানে কোনও ত্রাণ ঢুকতে দেয়নি ইজ়রায়েল। এর পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে সামান্য ত্রাণ ঢোকায় তারা ছাড়পত্র দিলেও, পরিমাণে তা খুবই অল্প। গাজ়ার বুভুক্ষু মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় তা কিছুই নয় বললে চলে। রাষ্ট্রপুঞ্জ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির মতে, গাজ়ায় দুর্ভিক্ষ শুরু হল বলে। অনাহারক্লিষ্ট হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। কারও কারও এক বেলা খাবার জোটে। কারও সেটুকুও নেই। পানীয় জল নেই। ওষুধ নেই। পর্যাপ্ত পোশাক নেই। ছাদ নেই। এই অবস্থায় মাথাচাড়া দিচ্ছে কালোবাজারির কারবার। যেখানে যেটুকু খাবার মজুত রয়েছে, দাম বেড়ে গিয়েছে অবিশ্বাস্য ভাবে। এখন এক কিলোগ্রাম চিনির দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার টাকা। কিলো প্রতি আলুর দাম ২ হাজার টাকা। উন্নত অর্থনীতির কোনও দেশেও সাধারণত খাবারের এত দাম হয় না। যেটুকু ত্রাণ পৌঁছচ্ছে, সেগুলিও চড়া দরে বিকিয়ে যাচ্ছে কালোবাজারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)