গত বৃহস্পতিবারই ট্রাম্প সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টারের সঙ্গে বৈঠকে ভারতীয় নেতৃত্ব বলেছিলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পাক সমর্থিত তালিবান গোষ্ঠী। আর শুক্রবার রাতেই উত্তর আফগানিস্তানে মাজার- ই-শরিফের সেনা শিবিরে ধ্বংসলীলা চালাল তালিবান। এই জঙ্গি হামলা নয়াদিল্লির আফগানিস্তান নীতিকে কূটনৈতিক বিশ্বের সামনে আরও পোক্ত করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত কালের তালিবান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫০ জন আফগান সেনা। দেরি না করে আজ সকালেই গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘মাজার ই শরিফ-এ কাপুরুষের মত এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি।’’ কড়া বিবৃতি দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। আফগানিস্তানের সেনা শিবিরের এই হামলাকে কাজে লাগিয়ে পাক সমর্থিত তালিবান গোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে তৎপর হয়েছে সাউথ ব্লক।
ভারতের সাফ বক্তব্য, এই হামলা থেকে এটা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তালিবান জঙ্গিরা ফের একজোট হচ্ছে। শক্তি সঞ্চয় করে তারা মাথা তুলছে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে। গত মার্চেই কাবুলের এক হাসপাতালে বড়সড় হামলা চালিয়েছিল তালিবান। গত বৃহস্পতিবার ম্যাকমাস্টারের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এই তথ্যগুলিই বিশদে তুলে ধরেছিলেন। বলা হয়েছিল শুধু আফগানিস্তান সীমান্তেই নয়, পাক সমর্থিত তালিবান ভারত- পাক সীমান্তেও তাদের জাল ছড়াচ্ছে। একই সঙ্গে চিন ও রাশিয়া যে ভাবে আইএস-এর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য তালিবানের হাত শক্ত করার কথা ভাবছে, তারও বিরোধিতা করে ভারত বলেছিল সময়ে-অসময়ে তালিবানই হাত মেলাচ্ছে আইএস-এর সঙ্গে। ফলে আইএস-এর সঙ্গে লড়তে গেলে তালিবানকেও ধ্বংস করতে হবে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আমেরিকাও এ ব্যাপারে একমত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মা ও শিশুদের উপরে চড়াও বিমানের কর্মী!
আফগানিস্তানের সেনা শিবিরে তালিবান হামলার পরে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকও। নাম না করে পাক-আফগান সীমান্তে সক্রিয় তালিবান গোষ্ঠীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, ‘‘আফগানিস্তানে বসে সারা বিশ্বে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে জঙ্গিরা। মাজার-ই-শরিফে হামলা এ কথা ফের মনে করিয়ে দিল যে, সেই সন্ত্রাস পরিকাঠোমো ধ্বংস করার সময় হয়ে গিয়েছে।’’ বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারত আফগানিস্তানের পাশে রয়েছে। যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, এই সন্ত্রাসবাদ যারা ছড়াচ্ছে তাদের উচিত সাজা দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy