রাষ্ট্রপুঞ্জে দাঁড়িয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন ভারতের প্রতিনিধি সীমা পুজানি। ফাইল ছবি।
সম্প্রতি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে তাঁদের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ এনেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। রাষ্ট্রপুঞ্জে ‘জবাবের অধিকার’ প্রয়োগ করে শুক্রবার তার কড়া উত্তরদিল ভারত।
নাম না-করলেও এক ভিডিয়ো বার্তায় বৃহস্পতিবার ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে হিনা দাবি করেছিলেন, ভারতে বিপুল পরিমাণে প্রথাসিদ্ধ এবং প্রথা বহির্ভূত অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। যার জেরে ব্যাহত হচ্ছে গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতা। প্রশ্নের মুখে পড়ছে তাঁর দেশের নিরাপত্তাও। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের উচ্চ পর্যায়ের এক প্যানেলের সামনে ইসলামাবাদে বসে হিনা আরও বলেন, ‘‘নীতি ভেঙে পরমাণু অস্ত্রের দিকে বার বার ঝুঁকেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এই দেশটি।’’
এ দিন রাষ্ট্রপুঞ্জে দাঁড়িয়ে এই বার্তার কড়া প্রতিক্রিয়া দেন ভারতের প্রতিনিধি সীমা পুজানি। তিনি বলেন, ‘‘যে সময়ে তাদের দেশের মানুষের জীবন এবং জীবিকা নিয়ে চরম টানাপড়েন চলছে, সে সময়ে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে ভারতকে নিয়ে পড়ে থাকাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, পাকিস্তান ভারতকে নিয়ে কতটা আবিষ্ট হয়ে থাকে। এবং এতে এ-ও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে তাদেরঅগ্রাধিকারগুলিও কতটা ঘেঁটে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বকে আমার উপদেশ, এ ধরনের ভিত্তিহীন প্রচার বাদ দিয়ে বরং এ বার একটু নিজেদের নাগরিকদের সুরাহা নিয়েচিন্তাভাবনা করুন।’’
একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তুরস্কের প্রতিনিধি এবং ‘অর্গ্যানাইজ়েশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন’ বা (ওআইসি)-র করা মন্তব্য নিয়েও এ দিন উষ্মা প্রকাশ করে ভারত। এ প্রসঙ্গে সীমা বলেন, ‘‘ওআইসি প্রসঙ্গে বলি, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তাদের অযাচিতমন্তব্য আমরা অগ্রাহ্য করলাম। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং চিরকাল তা-ই থাকবে। বরং বেআইনি ভাবে ভারতের অঞ্চল দখল করেরেখেছে পাকিস্তান।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy