E-Paper

জয়শঙ্কর-গ্যাং বৈঠকের সম্ভাবনা চলতি সপ্তাহে

গত ডিসেম্বরে বিদেশমন্ত্রী হয়েছেন কিন গ্যাং। এর মধ্যে নয়াদিল্লিতে জি২০ বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনের এবং গোয়ায় এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে দু’টি পার্শ্ববৈঠক সেরেছেন জয়শঙ্কর ও গ্যাং।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ০৭:০১
An image of S Jaishankar

চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: রয়টার্স।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন দেপসাং অঞ্চলে সংঘাত বন্ধের সূত্র খুঁজতে মুখোমুখি বসতে পারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং। তাঁদের আগামী বৃহস্পতিবার কেপ টাউনে পৌঁছনোর কথা। ওই দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসভুক্ত রাষ্ট্রগুলির (ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া) বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি ও বেজিং— উভয়পক্ষ তরফে একটি পার্শ্ববৈঠকের কথা চলছে।

গত ডিসেম্বরে বিদেশমন্ত্রী হয়েছেন কিন গ্যাং। এর মধ্যে নয়াদিল্লিতে জি২০ বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনের এবং গোয়ায় এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে দু’টি পার্শ্ববৈঠক সেরেছেন জয়শঙ্কর ও গ্যাং। ওই দুই বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি অগ্রাধিকার পেয়েছে।

সূত্রের খবর পূর্ব লাদাখের যে সীমান্তবিন্দুগুলিতে দু’দেশের সেনা চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখান থেকে পিছিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। এর আগের দু’টি আলোচনায় জয়শঙ্কর বেজিংকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হলে ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্য দিকগুলিও স্বাভাবিক হবে না। ভারত-চিন সীমান্ত স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে বেজিং যে প্রচার শুরু করেছিল, সেটিরও সূক্ষ্ম ভাবে বিরোধিতা করেছে নয়াদিল্লি।

বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, আগে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হোক, তার সমাধান সূত্রের খোঁজ চলুক। তার পরে অন্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। জয়শঙ্কর সম্প্রতি বলেছিলেন, আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া বা জাপান— যে দেশই হোক না কেন, ভারত তাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু ‘সীমান্ত বিরোধ’ এবং ‘সম্পর্কের অস্বাভাবিক প্রকৃতির’ কারণে চিন কিছুটা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের সীমান্ত সংক্রান্ত চুক্তি লঙ্ঘনের ফল। আসন্ন বৈঠকে চিনের বিদেশমন্ত্রীকে এই কথা বিস্তারিত ভাবে বোঝানোর চেষ্টা হবে।

তিন বছর অতিক্রান্ত হতে চলল সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের বিপুল সেনা সমাবেশ এবং তার আগ্রাসী আচরণের নিন্দা করে আসছে ভারত। উভয় দেশের কম্যান্ডার পর্যায়ের আলোচনায় ভারত দৃঢ় ভাবে চিনকে জানিয়েছে, বেজিংয়ের তরফে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ ভিত্তিকে “ক্ষয়” করেছে। সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা বর্তমান চুক্তি অনুসারে সমাধান করতে হবে। ভারতের দাবি, চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা না-মানার ফলেই গালওয়ান-সংঘর্ষ এবং তার জেরে লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

India-China Meet S jaishankar Qin Gang Indian Foreign Ministry Chinese Foreign Ministry

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy