Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
India

আট মাস চিনা বন্দরে আটক ভারতীয় জাহাজ

চিনের হুবেই প্রদেশে জিংট্যাং বন্দরটিতে গিয়েছিল, তারাও এ ব্যাপারে নীরব।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৫৩
Share: Save:

দীর্ঘ আটমাস চিনের বন্দরে কার্যত নিজেদের জাহাজে বন্দি হয়ে রয়েছেন ২৩ জন ভারতীয় জাহাজকর্মী। কয়লা ভর্তি ‘এমভি জগ আনন্দ’ নামের জাহাজটি থেকে পণ্য খালাস করার অনুমতি দেওয়া হয়নি চিনের পক্ষ থেকে। তাদের বন্দর ছাড়ার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। যে বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে এই জাহাজটি কয়লা নিয়ে উত্তর

চিনের হুবেই প্রদেশে জিংট্যাং বন্দরটিতে গিয়েছিল, তারাও এ ব্যাপারে নীরব। এরপর (২০ সেপ্টেম্বর) আরও একটি ভারতীয় জাহাজ ‘এমভি আনাস্টাসিয়া’ ১৬ জন ভারতীয় জাহাজকর্মীকে নিয়ে চিনের ওই প্রদেশেরই অন্য একটি বন্দরে গিয়ে একই ভাবে আটকে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আজ বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, “এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে জাহাজের কর্মীদের উপরে প্রবল মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। বেজিং-এ আমাদের দূতাবাস চিনের কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছে বিষয়টি নিয়ে। আবেদন করা হয়েছে

জাহাজকর্মীদের বন্দরে নামতে দেওয়া হোক। চিনা কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন কোভিড ১৯ সংক্রান্ত কিছু স্থানীয় বাধানিষেধের জন্য তাঁরা অনুমতি দিচ্ছে না।“ এর পরে মুখপাত্র জানান, “আমরা দেখছি যে অন্য কিছু জাহাজ ভারতীয় জাহাজের পরে এসে পণ্য খালাস করে ফিরেও গিয়েছে। এটার কারণ আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।“

জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের সংস্থা ‘গ্রেট ইস্টার্ন শিপিং লিমিটেডের’ হয়ে কাজ করে জাহাজটি। জাহাজের এক কর্মী জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় রওনা দেয় জাহাজটি। অস্ট্রেলিয়া থেকে মে মাসে চিনের দিকে যাত্রা শুরু করে ‘জগ আনন্দ’। এতে ছিল ১.৭০ লক্ষ টন অস্ট্রেলিয়ান কয়লা। তাঁরা আরও জানান, জাহাজটি ১৩ জুন চিনের জিংগট্যাং বন্দরে পৌঁছয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

India China Ship Dock Merchant Ship
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE