অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার রুশ ফৌজের বিরুদ্ধে আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সেনাদের নির্বিচারে হত্যার ‘প্রমাণ’ দিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন! রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হিসেবে কয়েকটি সামরিক রেডিয়ো ট্রান্সমিটারের কিছু কথোপকথন ড্রোন থেকে তোলা ভিডিয়ো ফুটেজ পেশ করা হয়েছে।
‘ফাঁস হওয়া’ রেডিয়োবার্তায় শোনা যাচ্ছে, রুশ সেনার এক কমান্ডার তাঁর অধীনস্থ সেনানীকে বলছেন, ‘‘ওদের (আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেন সেনা) কমান্ডারকে বন্দি করো। অন্যদের মেরে ফেলো!’’ ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নিহত ছ’জন ইউক্রেন সেনার দেহ মাটিতে পড়ে। দু’জনকে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মারছে রুশ সেনা। অন্য এক ইউক্রেনীয় সেনাকে (সম্ভবত তিনিই কমান্ডার) টেনে-হিঁচড়ে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! আন্তর্জাতিক বিধি ভেঙে ঝাপোরিজ়িয়ায় রুশ সেনা ওই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি।
আরও পড়ুন:
মস্কোর এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক জেনিভা সনদের পরিপন্থী বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। ১৯৪৯-এর ওই কনভেনশনে পরিষ্কার বলা আছে, দু’টি দেশের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে কোনও পক্ষের কোনও বাহিনীর সদস্য যদি অন্য পক্ষের এলাকায় সেখানকার বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন বা আত্মসমর্পণ করেন, তবে তাঁকে যুদ্ধবন্দির মর্যাদা দিতে হবে। জেনিভা কনভেনশন অনুসারে, এক জন যুদ্ধবন্দির একাধিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে শর্ত হল, সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবন্দি গ্রেফতারির সময় সামরিক উর্দি পরিহিত অবস্থায় থাকবেন। তা না হলে গুপ্তচরবৃত্তি বা নাশকতার অভিযোগে সামরিক আইনে বিচার ও সাজার মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে। সে ক্ষেত্রে প্রাণদণ্ডের শাস্তিও হতে পারে।