Advertisement
E-Paper

আমেরিকার সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা হবে! হুঁশিয়ারি ইরানের, পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি কি আরও জটিল হবে এ বার?

ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত যে এখনই বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে ইরানি সেনা। এ বার পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিতেও হামলার হুঁশিয়ারি দিল তারা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ১৫:৫৬
(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আয়াতোল্লা আলি খামেনেই (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আয়াতোল্লা আলি খামেনেই (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

এ বার পশ্চিম এশিয়ায় থাকা আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিগুলিতেও হামলার হুঁশিয়ারি দিল ইরান! ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত যে এখনই বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে ইরানি সেনা। এ বার শুধু ইজ়রায়েলই নয়, পশ্চিম এশিয়ায় থাকা আমেরিকার ঘাঁটিগুলিতেও নিশানা করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল তারা।

শুক্রবার ইরানের বৃহত্তম পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। ওই হামলায় ইরানের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল মহম্মদ বাগেরি, ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের প্রধান কমান্ডার জেনারেল হোসেন সালামি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল ঘোলামালি রশিদের মৃত্যু হয়। প্রত্যাঘাত করে ইরানও। শনিবার সকালেও দু’দেশই একে অন্যের উপর আঘাত হেনেছে। ইরানি সংবাদ সংস্থা ‘ফার্‌স’ অনুসারে, সে দেশের সামরিকবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই প্রত্যাঘাত বন্ধ হচ্ছে না।

শীর্ষ সামরিক কর্তাদের উদ্ধৃত করে ইরানি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের ‘সীমিত জবাবে’র মধ্যে এই সংঘর্ষ থেমে থাকবে না। ইরানের হামলা অব্যাহত থাকবে এবং ইরানিবাহিনীর এই জবাব হামলাকারীদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক হবে। পশ্চিম এশিয়ার এই সংঘর্ষ আরও ব্যাপক আকার নিতে পারে বলেও জানিয়ে রেখেছে তারা। ইরানি সেনা জানিয়েছে, আগামী দিনে ইজ়রায়েল অধিকৃত ভূখণ্ডে সর্বত্র হামলা হবে। একই সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ঘাঁটিগুলিতেও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তারা।

সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরার এক প্রতিবেদন অনুসারে, পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে (মিশরের লোহিত সাগর তীরবর্তী অঞ্চল-সহ) অন্তত ১৯টি জায়গায় আমেরিকার সামরিকবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি জায়গায় আমেরিকা নিয়ন্ত্রিত সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু জায়গায় আমেরিকার সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। বাহরিন, মিশর, ইরাক, জর্ডন, কুয়েত, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এই ঘাঁটিগুলি রয়েছে।

বস্তুত, সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতির জন্য আমেরিকাকেই দায়ী করেছে ইরান। রবিবার ওমানে পরমাণু চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল আমেরিকা এবং ইরানের। সেই বৈঠকও ভেস্তে গিয়েছে। ইরানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, “এক পক্ষ (আমেরিকা) এমন আচরণ করছে যে, আলোচনা অর্থহীন হয়ে পড়েছে। আপনি একই সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসতে চান, আবার ইজ়রায়েলকে ইরানের ভূখণ্ডে আক্রমণ করার সুযোগও করে দিতে চান। দু’টো একসঙ্গে হতে পারে না।”

আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ ভেঙে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। আমেরিকা চায় না ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাক। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান ইতিমধ্যেই ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধতা ৬০ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে। পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে এই বিশুদ্ধতার পরিমাণ আরও কয়েক শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে ইরানকে। কিন্তু আমেরিকা চায় এখানেই থেমে যাক ইরান।

এরই মধ্যে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই হামলার কথা তিনি আগে থেকেই জানতেন। ট্রাম্পের দাবি, এই হামলা ঠেকাতে, আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা তিনি করেছিলেন। কিন্তু ইরান তাদের অবস্থানে ছিল অনড়। সেই কারণেই তাদের এই পরিণতি। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার সামরিক ঘাঁটিতেও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল ইরান।

Iran Iran Israel Conflict
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy