রাষ্ট্রপুঞ্জের কালো তালিকায় (ব্ল্যাকলিস্ট) আবার উঠল ইজ়রায়েলের নাম। মূলত শিশুদের হত্যা ও তাদের উপরে ‘অকল্পনীয়’ অত্যাচার চালানোর অভিযোগে ইজ়রায়েলকে কালোতালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের বার্ষিক রিপোর্ট।
শুক্রবার প্রকাশিত ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত এক বছরে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে মোট ৪১৩৭০টি অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিঃসংশয় হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রসঙ্গত, কোনও দেশ, সেনা বা গোষ্ঠী শিশুদের হত্যা, গুরুতর জখম, যৌন নির্যাতন, অপহরণ করে বা তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা যেমন হাসপাতাল, স্কুল কিংবা কোনও মানবিক সহায়তা থেকে তাদের বঞ্চিত করলে, রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধি অনুযায়ী তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকে গাজ়ায় ধারাবাহিক ভাবে অভিযান চালাচ্ছে ইজ়রায়েলি সেনা। এখনও পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ওই প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ডে ৫৫ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ শিশু। ইজ়রায়েলি সেনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে শিশুদের উপর সরাসরি হামলার পাশাপাশি খাদ্য ও চিকিৎসা পরিষেবায় বাধা দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
আরও পড়ুন:
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের গোড়ায় ইজ়রায়েলি ফৌজের বিরুদ্ধে শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত বিষয়ক’ বিষয়ে মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ভার্জিনিয়া গাম্বা। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের পরে প্রথম বার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এ বারের রিপোর্টেও গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনা শিশুহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। পাশাপাশি, পশ্চিম এশিয়ার আর এক প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ড ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও নেতানিয়াহুর সেনা ধারাবাহিক ভাবে শিশুদের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের প্রতিনিধি ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ইরানি শিশুদের উপর হামলার ছবি প্রকাশ করেছিলেন।