প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলি ফৌজের অভিযান এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে এলাকা দখলের আগ্রাসনে পরিণত হল। বুধবার গাজ়া সিটির উত্তরাংশের এবাদ-আলরহমান এলাকার দখল নিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। অবিলম্বে গাজ়ার রাজধানীর বাসিন্দাদের শহর ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে তারা। বুধবার ইজ়রায়েলি হানায় মোট ৫১ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন গাজ়ায়। তা ছাড়া, অনাহারে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ৮ অগস্ট ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাঁর মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটিতে পুরো গাজ়া দখলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিনা প্রতিবাদে তা গৃহীত হয়েছিল। এ বার তেল আভিভ সেই কর্মসূচি রূপায়ণের কাজ শুরু করতে নামল বলে মনে করা হচ্ছে। এবাদ-আলরহমান থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে গাজা নগরীর জালা স্ট্রিট অবস্থিত। ওই এলাকাটুকুতে লক্ষাধিক মানুষের বাস ছিল। কিন্তু ইজ়রায়েল সেনার গুলি এবং মর্টার বর্ষণের জেরে বুধবার থেকেই দলে দলে প্যালেস্টাইনি দক্ষিণ গাজ়ার দিকে চলে যেতে শুরু করেছেন। নাবলুস শহরেও বুধবার অভিযান চালিয়েছে ইজ়রায়েল ফৌজ।
ঘটনাচক্রে, গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছে, গাজ়ার বাসিন্দা প্রায় ২০ লক্ষ প্যালেস্টাইনিকে পাকাপাকি ভাবে আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরিত করতে সক্রিয় হয়েছে ইজ়রায়েল সরকার। যদিও বলপ্রয়োগ করে প্যালেস্টাইনিদের উৎখাতের অভিযোগ এড়াতে এই পরিকল্পনাকে ‘স্বেচ্ছায় অভিবাসন’ বলে চিহ্নিত করেছে তেল আভিভ। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে গাজ়া দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, সেখানকার প্যালেস্টাইনদের স্থায়ী ভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এ বার সেই ঘোষণাই কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)