খান ইউনুসের পর এ বার গাজ়া ভূখণ্ডের আরও ১৪টি জনপথ থেকে প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের চলে যাওয়ার ‘ফরমান’ দিল ইজ়রায়েলি সেনা! তারা জানিয়েছে, উত্তর গাজ়ার ওই ১৪টি এলাকায় শীঘ্রই প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরু করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে প্যালেস্টাইনি আমজনতাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তেল আভিভ জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ওই এলাকাগুলি থেকে হামাস যোদ্ধারা নতুন করে রকেট হামলা চালিয়েছে বলেই নতুন করে সেখানে সেনা অভিযান হচ্ছে।
গত ১৮ মে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পুরো গাজ়া ভূখণ্ড দখলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেই খান ইউনূস এবং আশপাশের শরণার্থী শিবিরগুলি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেনার তরফে। গাজ়ার ২৩ লক্ষ প্যালেস্টাইনি বাসিন্দার মধ্যে প্রায় প্রায় অর্ধেক ঘরছাড়া হয়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে স্থলপথে সেনা অভিযান শুরি হলে হতাহতের শঙ্কা দ্রুত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের বার্তায় সাড়া দিয়ে গাজ়ায় মানবিক সাহায্য (খাদ্য, জল এবং ওষুধ) বহনকারী ট্রাক ঢুকতে শুরু করলেও হামলা এবং হুমকি থামেনি ইজ়রায়েলি সেনার।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড ইজ়ারায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালানোর পরে নেতানিয়াহুর ফৌজ ধারাবাহিক ভাবে গাজ়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এর পর কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছিল। কিন্তু পণবন্দি মুক্তি ঘিরে টানাপড়েনের জেরে মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা।