গাজ়ার পরে এ বার পশ্চিম এশিয়ার আর এক প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ড ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে হামলা চালাল ইজ়রায়েল সেনা। তবে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি সংগঠন হামাস নয়, এ বার তাদের নিশানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরব দেশগুলির কূটনীতিকেরা!
বিদেশি কূটনীতিকদের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক সফরে গিয়েছিল। সে সময় জেনিন শরণার্থী শিবিরের কাছে তাদের নিশানা করে ইজ়রায়েলি সেনারা গুলি ছোড়েন বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এমনকি, ইজ়রায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে হামলার প্রতিবাদ জানায় ইটালি সরকার। এই আবহে চাপে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করে গুলিবর্ষণের সাফাই দিয়েছে তেল আভিভ।
ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘বিদেশি কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল অনুমোদিত পথ থেকে সরে গিয়ে এমন একটি এলাকায় ঢুকে পড়েছিল, যেখানে তাদের যাওয়ার অনুমতি ছিল না। এলাকায় দায়িত্বে থাকা সেনারা তখন সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ে প্রতিনিধিদলটিকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিড়ম্বনার জন্য আমাদের সেনা দুঃখপ্রকাশ করছে।’’ কয়েক মাস আগেও ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের উত্তরাংশের চার শহর— জেনিন, তুলকারেম, নাবলুস ও তুবাসে হামলা চালিয়ছিল ইজ়ারায়েলি সেনা।
আরও পড়ুন:
প্যালেস্টাইনি স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা, প্রয়াত ইরাসের আরাফতের গড়া সংগঠন ‘ফাতা’-র নেতৃত্বধীন জোট ‘প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ (পিএলও)-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ভূখণ্ড। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বশাসিত প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষ সেখানকার প্রশাসন পরিচালনা করেন। ইজ়রায়েল সেনা অবশ্য আন্তর্জাতিক জনমত উপেক্ষা করেই দীর্ঘ দিন ধরে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের একাংশ দখল করে রয়েছে। সেখানকার ঘরছাড়া নাগরিকদের একাংশ জেমিন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্য দিকে, ২০০৭ সালে পিএলও-কে পরাস্ত করে গাজ়ার দখল নিয়েছিল হামাস।