Advertisement
E-Paper

নিকির জায়গায় ইভাঙ্কা! জল্পনা ট্রাম্পের কথায়

রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে এ বছরের শেষে ইস্তফা দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কূটনীতিক নিকি হ্যালি। ট্রাম্পের প্রশাসনেও আর থাকবেন না তিনি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৬
ইভাঙ্কা ট্রাম্প। ছবি এএফপি

ইভাঙ্কা ট্রাম্প। ছবি এএফপি

আসন খালি হচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। সুযোগ বুঝে তাই মেয়ে ইভাঙ্কাকেই এগিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে খানিক রেখে-ঢেকে।

রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে এ বছরের শেষে ইস্তফা দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কূটনীতিক নিকি হ্যালি। ট্রাম্পের প্রশাসনেও আর থাকবেন না তিনি। কাল নিকির এই হঠাৎ ঘোষণার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এ বার কে? ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগে ট্রাম্প নিজেই বলে বসলেন, ‘‘ইভাঙ্কা যদি যায়, আমি নিশ্চিত সেটা একটা মারকাটারি ব্যাপার হবে।’’

তা হলে কি নিকির বদলি হিসেবে নিজের দ্বিতীয় সন্তানকেই বেছে নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? এটা কি পক্ষপাত হল না! সাংবাদিকদের মধ্যে সবে যখন এ সব নিয়ে চাপা গুঞ্জন শুরু হয়েছে, ফের মুখ খুললেন ট্রাম্প। বললেন, ‘‘ওই পদে ইভাঙ্কাই যোগ্যতম। তবে তার মানে এটা নয় যে, ওকেই বেছে নিচ্ছি। তা হলে তো আবার স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠবে।’’ ট্রাম্প জানান, নিকির সঙ্গে আলোচনা করেই দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যেই নাম ঘোষণা করা হবে।

কাল ট্রাম্পের সঙ্গেই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তফার কথা জানান নিকি। তাঁকে নিজের টিমের ‘কর্মনিষ্ঠ সদস্য’ এবং ‘সম্পদ’ বলে পিঠ চাপড়ান প্রেসিডেন্ট। পাল্টা সৌজন্যে ট্রাম্প ও তাঁর মেয়ে-জামাই ইভাঙ্কা ও জ্যারেড কুশনারকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন নিকি। তাই ইভাঙ্কার রাষ্ট্রপুঞ্জে যাওয়া নিয়ে কাল থেকেই একটা জোর আলোচনা শুরু হয়েছিল মার্কিন কূটনীতিক মহলে। ইভাঙ্কা অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি ওই দায়িত্বপালনে আগ্রহী নন। বাবা মুখ খোলার পর-পরই মেয়ে টুইটারে লেখেন, ‘‘হোয়াইট হাউসে কাজ করাটা অত্যন্ত গর্বের। আশা করব, নিকির পরে যোগ্য কেউই যাবেন রাষ্ট্রপুঞ্জে। আমি আগ্রহী নই।’’

তবে নিকি এর পরে কী করবেন সেটা স্পষ্ট নয়। কাল ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, অদূর ভবিষ্যতে নিকির হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। সেই সূত্রেই প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে কি ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াবেন তিনি? এর উত্তরে নিকি বলেছিলেন, ‘‘না, প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে আমি নেই। বরং প্রেসিডেন্টকে কথা দিচ্ছি, আগামী নির্বাচনে তাঁর হয়েই প্রচার করব।’’

কূটনীতিকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, এ সব নিকির নেহাতই কথার কথা। ট্রাম্প পাশে ছিলেন বলেই অযথা তাঁকে চটাতে চাননি ৪৬ বছরের এই দুঁদে কূটনীতিক। তাঁদের দাবি, নিকির রাজনৈতিক উচ্চাশাই তাঁকে ২০২০-তে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী করে তুলতে পারে। এপ্রিলের একটি সমীক্ষা বলছে, দেশের মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ট্রাম্পের থেকেও ২০ পয়েন্ট বেশি।

কিন্তু নিকি এত তাড়াতাড়ি কেন হোয়াইট হাউস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার বলছেন, ট্রাম্পকে খুশি রেখে তাঁর গণ্ডি ছেড়ে বেরিয়ে আসার এটাই সবচেয়ে ভাল সময়। নিকির ঘনিষ্ঠ মহলের একাংশ আবার জানাচ্ছে, টানা দু’বছরের পরিশ্রম থেকে নিকি সত্যিই মুক্তি চাইছিলেন।

যদিও তাঁর ইস্তফা ঘোষণা প্রসঙ্গে আমেরিকার প্রথম সারির এক দৈনিকে আজ বলা হয়েছে, ‘‘রাজনীতির হাওয়াটা বড্ড ভাল বোঝেন নিকি।’’ আগামী মাসে দেশে অন্তর্বর্তী নির্বাচন। সেখানে কোনও ভাবে যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাওয়া ঘুরে যায়, তখন ইস্তফা ঘোষণা করাটা অস্বস্তির হয়ে দাঁড়াতে পারে বুঝেই নিকি হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিলেন বলে মনে করছেন অনেকে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশ আবার একটা ‘অর্থনৈতিক’ কারণও দেখাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, শুধুই সরকারি চাকরি করতে করতে নিকির মাথায় এখন ১০ লক্ষ ডলারের ধার। এ বার বরং কোনও বেসরকারি চাকরিতে ঢুকলেই হাল ফিরবে তাঁর!

USA Nikki Haley Ivanka Trump UN US Ambassador Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy