দু’জনের মধ্যে সহবাস হয়েছিল মাত্র এক বার। তাতেই তিনি ভেবে নিয়েছিলেন, বেশ জমবে প্রেমটা। কিন্তু তা আর হয়নি। বিশেষ করে ৯/১১-র বিমানহানার পরেও ‘প্রেমিক’ কোনও খোঁজখবরই না নেওয়ায় তিনি বুঝে যান, সম্পর্কটা আর এগোবে না। গত মাসে ফ্লরিডায় আমেরিকার আইন বিভাগের কর্তা তথা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল টড ব্লাঞ্চের কাছে দেওয়া বয়ানে এ ভাবেই শিশুদের নিয়ে যৌনচক্র চালানো জেফ্রি এপস্টাইনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তথা ওই চক্রের অন্যতম পান্ডা গিজ়লেন ম্যাক্সওয়েল। যৌনচক্রের অন্যতম পান্ডা গিজ়লেনকে আদালত ২০২১ সালে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
জেফ্রি এপস্টাইন এবং তার শিশু যৌনচক্রের সঙ্গে আমেরিকার তাবড় রাজনীতিক ও সমাজের নানা অংশের বিশিষ্টদের জড়িত থাকার কথা বার বার উঠেছে। এপস্টাইনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে নাম জড়িয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও। ২০১৯ সালে গ্রেফতারের কয়েক মাস পরেই রহস্যজনক ভাবে জেলের মধ্যে মারা যায় এপস্টাইন। এপস্টাইনের মৃত্যুর আগেই তার বান্ধবী তথা ‘ম্যানেজার’ ম্যাক্সওয়েল সংবাদমাধ্যমকে জানান, কী ভাবে আমেরিকার একাধিক প্রভাবশালীকে শিশু যৌনচক্রে জড়িয়ে সে সবের ভিডিয়ো নিজের কাছে রেখে দর কষাকষি করতেন এপস্টাইন। যদিও সেই সব নথি, ডায়েরি, ভিডিয়ো-সহ অনেক কিছুই লোপাট করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
তাঁর সঙ্গে এপস্টাইনের ‘বিশেষ’ সম্পর্ক নিয়ে কোনও দিনই প্রকাশ্যে কিছু বলেননি ম্যাক্সওয়েল। ওই সাক্ষাৎকারে দু’জনের প্রথম দেখা, প্রেম, সহবাস, শারিরীক অসুস্থতা, হঠাৎ বিপুল বেতনবৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি জানান, ১৯৯১ সালে ম্যাডিসন গার্ডেনে এপস্টাইনের অফিসে তাঁদের প্রথম দেখা হয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ফলে তাঁর বেতন ২৫ হাজার ডলার থেকে একলাফে আড়াই লাখ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৯ সালের পরে সম্পর্কে ফাটল ধরে। ৯/১১-র পরে তা আরও বাড়ে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)