জো বাইডেন।—ছবি রয়টার্স।
আরও এক বার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ আনলেন আগামী নির্বাচনে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। কাল পিটসবার্গের নির্বাচনী সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘বিষাক্ত’ বলেও উল্লেখ করেন বাইডেন। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা দেশে আগুন জ্বলছে। আর উনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেটা বন্ধ করার চেষ্টা না করে তা আরও বেশি করে জ্বলার ইন্ধন দিচ্ছেন।’’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বর্ণবিদ্বেষ-বিরোধী সমাবেশ-মিছিলে উত্তাল বেশ কয়েকটি মার্কিন শহর। গোটাটাই শান্তিপূর্ণ ভাবে করা হচ্ছে বলে কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভকারীরা দাবি করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, লুটতরাজ আর নৈরাজ্যের অভিযোগ এনেছেন। কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভকারীদের রুখে দেওয়ার যে চেষ্টা শ্বেতাঙ্গরা করছেন, তাকেও সমর্থন জানিয়েছেন। ট্রাম্পের ভাষায় বিক্ষোভ রুখে দেওয়া এই নাগরিকেরাই প্রকৃত দেশপ্রেমী। অথচ ট্রাম্প সমর্থকের হাতেই কেনোশা ও পোর্টল্যান্ডের মতো শহরে কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এই পরিস্থিতিতে আজ উইসকনসিনের কেনোশায় সভা করার কথা ট্রাম্পের। দিন দশেক আগে এখানেই এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের পিঠে পর পর অনেকগুলি গুলি চালিয়েছিলেন। জেকব ব্লেক নামে সেই যুবকের উঠে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। বর্ণবিদ্বেষ-বিরোধী আন্দোলনগুলিকে প্রেসিডেন্ট কট্টর বামপন্থী আন্দোলন আখ্যা দিয়েছেন। নিজের সমর্থকদের তিনি বলছেন, ‘‘বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে গোটা দেশ শুধু এই ধরনের ঘটনারই সাক্ষী থাকবে।’’ বাইডেন কাল সভায় ট্রাম্পের এই বক্তব্য প্রসঙ্গেই পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘‘আপনারা কি সত্যিই এই প্রেসিডেন্টের কাছে নিজেদের বেশি সুরক্ষিত মনে করেন?’’ বস্তুত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ ভাবেই বিক্ষোভকারীদের বামপন্থী আখ্যা দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের ব্যাকফুটে রাখার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। গত কাল তারই প্রত্যাঘ্যাত করেছেন বাইডেন।
উইসকনসিনের গভর্নরের আপত্তি সত্ত্বেও আজ সেখানে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটরা বারবার বলে আসছেন, ট্রাম্পের এই সফর উত্তেজনা আরও বাড়াবে। প্রেসিডেন্টের একটা মন্তব্যেই ফের আগুন জ্বলতে পারে সেখানে। তবে কেনোশা গেলেও ব্লেকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কোনও পরিকল্পনা প্রেসিডেন্টের নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy