Advertisement
E-Paper

দূতাবাস থেকেই কি গুপ্তচরবৃত্তি করতেন অ্যাসাঞ্জ?

বেড়াল নিয়ে সংশয় কাটলেও অ্যাসাঞ্জের পিছু ছাড়ছেন না ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৫
অ্যাসাঞ্জ-ভক্তদের দাবি, আমেরিকা কলকাঠি নেড়েছে বলেই ইকুয়েডর এই পদক্ষেপ করেছে। ছবি: এপি।

অ্যাসাঞ্জ-ভক্তদের দাবি, আমেরিকা কলকাঠি নেড়েছে বলেই ইকুয়েডর এই পদক্ষেপ করেছে। ছবি: এপি।

অবশেষে খোঁজ মিলেছে তাঁর সঙ্গীর। উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতারির খবর মিলতেই সব চেয়ে বেশি হইচই হয়েছিল তাঁর পোষ্য বেড়ালকে নিয়ে। অ্যাসাঞ্জ প্রাথমিক ভাবে লন্ডনের থানায় চলে গেলেও বেড়াল নিয়ে তখন কিছু জানা যায়নি। এ বার উইকিলিকস সংস্থার তরফেই এক টুইটে জানানো হয়েছে, বেড়ালটি ভাল আছে। ‘এমবাসি ক্যাট’ নামে টুইটার ইনস্টাগ্রামে রীতিমতো সেলিব্রিটি সেই বেড়াল। উইকিলিকস-এর টুইট, ‘‘আমরা নিশ্চিত করে জানাচ্ছি, অ্যাসাঞ্জের বেড়াল ভাল আছে। অ্যাসাঞ্জ তাঁর আইনজীবীকে বলেছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি তাকে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে উদ্ধার করা হবে। মুক্তি পেয়ে তিনি পোষ্যের সঙ্গে দেখা করবেন।’’

বেড়াল নিয়ে সংশয় কাটলেও অ্যাসাঞ্জের পিছু ছাড়ছেন না ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো। তিনি ব্রিটেনের একটি দৈনিকে ফের বিষোদ্গার করেছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে। এ বার তাঁর দাবি, লন্ডনে তাঁদের দূতাবাস থেকে গুপ্তচরবৃত্তি করতেন অ্যাসাঞ্জ। ইকুয়েডরের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পিছনেও বড় কারণ মোরেনোর ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য প্রকাশ্যে এনে ফেলা। তা হলে সেই রাগেই কি মোরেনো অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় কেড়ে নিলেন?

মোরেনো ওই দৈনিকে বলেছেন, তাঁর পরিবারের ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ায় শোধ তুলতে তিনি কিছুই করেননি। বরং তাঁর আক্ষেপ, অন্য দেশের গণতান্ত্রিক প্রশাসনে নাক গলাতে অ্যাসাঞ্জ তাঁদের দূতাবাসকে কাজে লাগিয়েছিলেন। মোরেনোর কথায়, ‘‘কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে বেসামাল করে দেওয়া ইকুয়েডরের কাছে অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। আমরা সার্বভৌম দেশ। অন্য প্রতিটি দেশের রাজনীতি সম্পর্কে আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। আমাদের দূতাবাসকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। সেটা কোনও অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না।’’

যদিও অ্যাসাঞ্জ-ভক্তদের দাবি, আমেরিকা কলকাঠি নেড়েছে বলেই ইকুয়েডর এই পদক্ষেপ করেছে। রাজনৈতিক আশ্রয় এ ভাবে কেড়ে নেওয়া বেআইনি। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছাড়া এটা আর কিছুই নয়।

গ্রেফতারির পরে অ্যাসাঞ্জকে যে ভাবে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে, তার বিরোধিতায় এ দিনই ভারত থেকে একটি লিখিত বিবৃতিতে সই করেছেন সাংবাদিক এন রাম, সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়, প্রাক্তন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ইন্দিরা জয়সিংহ, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, সাংবাদিক পি সাইনাথ এবং ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার। গোটা ব্যাপারটিকেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলে তাঁরা দ্রুত অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিও তুলেছেন।

Lenin Moreno Julian Assange
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy