যে পথ ধরে বানানো হয়েছে করতারপুর করিডর। ছবি টুইটারের সৌজন্যে
করতারপুর করিডর চালুর ব্যাপারে ইসলামাবাদের প্রস্তাবে খুশি নয় দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য, শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য করতারপুর করিডর চালুর ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যা বলেছিলেন, তার সঙ্গে ইসলামাবাদের প্রস্তাবে আকাশপাতাল ফারাক রয়েছে। ভারতের অনেক দাবিই মানা হয়নি। আর তাতে শিখ তীর্থযাত্রীদেরও তেমন মর্যাদা দেওয়া হয়নি। করতারপুর করিডর যে তীর্থযাত্রীদের জন্য চালু হচ্ছে, পাক প্রস্তাবে তা বোঝা যায়নি।
ওই করিডর চালু ও সংশ্লিষ্ট চুক্তির খসড়া নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রথম বৈঠকটি হয়েছে বৃহস্পতিবার, অমৃতসরের আটারিতে। ওই করিডর চালু হলে পঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলা থেকে সহজেই পাকিস্তানের করতারপুর শহরে দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যেতে পারবেন শিখ তীর্থযাত্রীরা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ভারতের তরফে দাবি জানানো হয়েছিল ওই করিডর ধরে শিখ তীর্থযাত্রীরা যেন করতারপুর শহরে দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যেতে পারেন বিনা ভিসায়। পাক প্রধানমন্ত্রী সেই আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল পাক প্রতিনিধিদল শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য বিশেষ পারমিট দেওয়ার কথা জানিয়েছে। যার ফলে, তীর্থযাত্রীদের খরচের বহরটা অনেক বেড়ে যাবে। করিডর চালুর মূল উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হবে।
আরও পড়ুন- পুলওয়ামার পর এই প্রথম আলোচনার টেবিলে, কর্তারপুর নিয়ে ভারত-পাক বৈঠক
আরও পড়ুন- ভারতকে গুগলি দিয়েছেন ইমরান, করতারপুর করিডর নিয়ে নয়াদিল্লিকে কটাক্ষ পাক বিদেশমন্ত্রীর
করিডর: ভারত কী চেয়েছিল? পাকিস্তান কী চাইছে?
১) ভারত চেয়েছিল সপ্তাহের সাত দিনই তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে রাখা হোক করিডর। পাকিস্তানের প্রস্তাব, নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনেই করিডর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা।
২) ভারত চেয়েছিল, কেউ চাইলে যেন পায়ে হেঁটেও ওই করিডর ধরে যেতে পারেন করতারপুর শহরের দরবার সাহিব গুরুদ্বারে। কিন্তু পাকিস্তান তাতে রাজি নয়। ইসলামাবাদের প্রস্তাব, সর্বাধিক ১৫ জনের দল বেঁধে গাড়িতে চেপে যেতে হবে ওই করিডর দিয়ে।
৩) ভারত চেয়েছিল, অনির্দিষ্টকালের জন্য শিখ তীর্থযাত্রীদের এই সুবিধা দিতে। ইসলামাবাদ চাইছে, দিল্লির সঙ্গে এ ব্যাপারে দু’বছরের সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy