নববর্ষে টিভিতে দেশের মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জঙ উন। এবং নতুন বছরের প্রথম দিনেই সকলকে চমকে দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, দেশের অস্ত্র ভাণ্ডার আরও মজবুত করতে এ বার ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল’ (আইসিবিএম)-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত তাঁর সরকার। যে কোনও দিন সেই পরীক্ষা করা হতে পারে।
একের পর এক পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য ২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার উপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। গত সেপ্টেম্বরে দেশের সব চেয়ে বড় পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া।
তার জন্য গত মাসে কিমের দেশের উপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। কিন্তু কিম যে তাতে দমেননি, আজকের ঘোষণা তা ফের প্রমাণ করল।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, আইসিবিএম সাধারণত সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে আক্রমণ করতে পারে। বিশেষ ভাবে বানানো আইসিবিএম আরও দূরের লক্ষ্য অর্থাৎ প্রায় দশ হাজার কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে পারে। কিম যে অস্ত্রের কথা বলেছেন, তা এই দু’টির কোনটির মধ্যে পড়ে, তা স্পষ্ট করেননি। কবে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হবে, সে নিয়ে একটি কথা বলেনি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও।
তবে কিমের এই ঘোষণায় কপালে ভাঁজ পড়েছে অনেকেরই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের কাছ থেকে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় ধরনের অর্থাৎ দশ হাজার কিমি-র আইসিবিএম আমেরিকার বেশ কিছু শহরে আক্রমণ করার মতো ক্ষমতা রাখে। কিমও আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া যত দিন মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া চালাবে, উত্তর কোরিয়াও পরমাণু অস্ত্র বা আইসিবিএমের মতো মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ বন্ধ করবে না। বরং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে তারা এই ধরনের অস্ত্র ভাণ্ডার আরও বাড়ানোর কথা ভেবে রেখেছে। নতুন আইসিবিএমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়া কবে করে, সে দিকেই তাকিয়ে এখন গোটা বিশ্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy