প্রতীকী ছবি।
করোনা অতিমারির কারণে নিম্ন-মধ্য অর্থনীতির দেশগুলো শিক্ষাখাতে বাজেটে বরাদ্দ কমিয়েছে ৬৫ শতাংশ। অন্য দিকে, উচ্চ এবং উচ্চ-মধ্য অর্থনীতির দেশগুলো এই খাতে বরাদ্দ কমিয়েছে ৩৩ শতাংশ। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমটাই জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কো-র গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং (জিইএম)-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে সমীক্ষা করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। কোভিডের প্রভাব শিক্ষাখাতে বাজেটের উপর কী প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে ২৯টি দেশে সমীক্ষা চালিয়েছে তারা। তার মধ্যে যেমন নিম্ন অর্থনীতির দেশ আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া এবং উগান্ডা রয়েছে, তেমন রয়েছে নিম্ন-মধ্য অর্থনীতিসম্পন্ন বাংলাদেশ, মিশর, ভারত, কেনিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, মরক্কোর মতো মতো ১৪টি দেশ। সমীক্ষা চালানো হয়েছে আর্জেন্তিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, মেক্সিকো-র মতো ১০টি উচ্চ-মধ্য অর্থনীতিসম্পন্ন দেশে।
রিপোর্টে বলা বয়েছে, এটা স্পষ্ট নয়, যে সব দেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কাটছাঁট করা হয়েছে তারা ফের এই এই খাতে কতটা বরাদ্দ বাড়াতে সক্ষম হবে। তবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ফের মসৃণ পথে নিয়ে আসতে যখন বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি, তার ঠিক উল্টোটাই ঘটছে অনেক দেশে। ভারতের ক্ষেত্রে যেমন শিক্ষা মন্ত্রকের জন্য বাজেটে ৬ শতাংশ বরাদ্দ কমানো হয়েছে। ৯৯ হাজার ৩১১ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৯৩ হাজার ২২৩ কোটি।
করোনার কারণে বিশ্বের অর্থনীতির উপর যেমন প্রভাব পড়েছে। ঠিক তেমনই প্রভাব পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থার উপর। অনলাইন ক্লাস চলছে। করোনার চরম পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন। যদিও ধীরে ধীরে বহু দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে শিক্ষা ফের স্বাভাবিক পথে আসছে। কিন্তু করোনার কারণে যে ভাবে শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা স্বাভাবিক হতে বহু সময় লাগবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy