ওয়াশিংটনে সপ্তাহ কয়েক আগেই বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছিল। শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকার মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করল মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো)-র সরকার এবং বিদ্রোহী এম২৩ বাহিনী।
গত জুন মাসে মার্কিন বিদেশসচির মার্কো রুবিয়োর মধ্যস্থতায় পড়শি দেশ রোয়ান্ডার সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিল ডিআর কঙ্গো। তার পরেই রোয়ান্ডা এবং উগান্ডার মদতপুষ্ট এম২৩ বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল টুটসি জনজাতির ওই বিদ্রোহী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ওই অঞ্চলেই মজুত রয়েছে দুনিয়ার অর্ধেকের বেশি কোবাল্ট ও কোল্টন। এ ছাড়া সোনা, তামা এবং লিথিয়ামের মতো খনিজ সম্পদের বিরাট ভান্ডার রয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন:
গত বছর এম২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গে চিনের যোগাযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ দাবি করে, রোয়ান্ডা এবং এম২৩-র সাহায্যে ওই বিশাল খনিজ ভান্ডার কব্জা করতে চাইছে বেজিং। বস্তুত, তার পর থেকেই ডিআর কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির প্রস্তাব মেনে রোয়ান্ডাকে আলোচনার টেবিলে আনতে সক্রিয় হয়েছিল ট্রাম্প সরকার। শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের সেই প্রয়াস সফল হওয়ায় মধ্য আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তারে বেজিঙের সেই উদ্যোগ ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ২৩ মার্চ টুটসি গণহত্যা প্রতিরোধ করতে দানা বেঁধেছিল আন্দোলন। সেই ইতিহাস সামনে রেখেই গড়ে উঠেছিল সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী এম২৩। গত তিন দশকের হিংসায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক লক্ষ অসামরিক নাগরিক। আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপার্সন মাহমুদ আলি ইউসুফ এক বিবৃতিতে শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘‘পূর্ব ডিআর কঙ্গো এবং বৃহত্তর গ্রেট লেকস অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা অর্জনের ক্ষেত্রে এই চুক্তি এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।’’