মহাদেব বেটিং অ্যাপ-এর কর্ণধার রবি উপল। ছবি: সংগৃহীত।
দুবাই থেকে আটক করা হল মহাদেব বেটিং অ্যাপের অন্যতম কর্ণধার রবি উপলকে। ইডির এক সূত্রের খবর, রবির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করেছিল ইন্টারপোল। রবিকে ধরার জন্য ইন্টারপোলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ইডি সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই আটক করা হয়েছে রবিকে। তাঁকে ভারতে নিয়ে আসার জন্য দুবাই প্রশাসনের সঙ্গে কথাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধী আইন (পিএমএলএ) অনুযায়ী গত অক্টোবরে রবি এবং ইন্টারনেট দুনিয়ার আর এক ব্যবসায়ী সৌরভ চন্দ্রকরের বিরুদ্ধে রাইপুর আদালতে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুরোধে তার পর পরই রবিব বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। মুম্বই পুলিশও রবির বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করে তদন্ত চালাচ্ছে।
ইডি সূত্রের খবর, দুবাই থেকে অনলাইনে বেটিং চক্র চালাতেন উপল এবং তাঁর কয়েক জন সহযোগী। প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে মহাদেব বেটিং অ্যাপের কর্ণধারের বিরুদ্ধে। ৭০-৩০ লভ্যাংশের অনুপাতে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে এই বেটিং চক্র চলত বলে ইডি সূত্রের খবর। প্রতি দিন ২০০ কোটি টাকার লেনদেন হত এই অ্যাপের মাধ্যমে।
অ্যাপের প্রচারে জড়িত থাকায় বলিউডের কয়েক জন অভিনেতাকে সমন পাঠায় ইডি। পরে ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছত্তীসগঢ়ের ভিলাই থেকে অসীম দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে তারা। ইডি-র অভিযোগ, কংগ্রেসের নির্বাচনের খরচ জোগাতে ওই ব্যক্তিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে পাঠিয়েছিলেন ‘মহাদেব’ অ্যাপের কর্ণধাররা। ইডি-র দাবি, ‘বঘেল’ নামে এক রাজনীতিককে দেওয়ার জন্য অ্যাপটির মালিকদের দূত হিসাবে অসীম দুবাই থেকে ৫.৩৯ কোটি টাকা নিয়ে এসেছিলেন। বিজেপি অভিযোগ করে, বঘেল নামের ওই রাজনীতিক আর কেউ নন, তিনি ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী (তৎকালীন) ভূপেশ বঘেল। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দেন বঘেল।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে বঘেল বলেছিলেন, “মহাদেব অ্যাপ নিয়ে তদন্তের নামে ইডি প্রথমে আমার ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালাল। পরে এক অপরিচিত ব্যক্তির বক্তব্যের ভিত্তিতে তারা আমার নামে ৫০৮ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলছে। এর চেয়ে বড় রসিকতা আর কী হতে পারে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy