২২ বছরের এই তরুণই ম্যনচেস্টার এরিনায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, বলছে ব্রিটেনের পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
ম্যানচেস্টারের আত্মঘাতী হামলাকারী সলমন রামাদান আবেদির বাবা এবং ভাইকে গ্রেফতার করল লিবিয়ার পুলিশ। বুধবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সলমনের জন্ম লন্ডনে হলেও তাদের আসল বাড়ি লিবিয়ার ত্রিপোলিতেই। ম্যানচেস্টারে বিস্ফোরণের পর সলমনের নাম উঠে আসতেই তার পরিবারের খোঁজে সক্রিয় হয় ব্রিটিশ প্রশাসন। লিবিয়ার পরিবারটির ম্যানচেস্টারের ঠিকানায় কারও খোঁজ না মেলায় যোগাযোগ করা হয় লিবিয়ার প্রশাসনের সঙ্গে। বুধবার লিবিয়ার পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা ত্রিপোলির বাড়ি থেকেই সলমনের বাবা আবু ইসমাইল এবং ভাই হাশেম আবেদিকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: আইএস যোগ স্পষ্ট, তবু নজর এড়াল কী ভাবে
বিস্ফোরণের পর কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে ম্যানচেস্টার এরিনা
তবে কেন রমাদান আবেদিকে গ্রেফতার করা হল, সে বিষয়ে লিবিয়া পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।শুধু লিবিয়া পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, হামেশের সঙ্গে রীতিমতো যোগাযোগ ছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস)জঙ্গিদের। ম্যানচেস্টারে জঙ্গি হামলার পরই আত্মঘাতী জঙ্গি সলমনের নাম উঠে আসে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা করে পুলিশ। ম্যাঞ্চেস্টারের মুসলিম সম্প্রদায়ের বর্ষীয়ান এক সদস্য জানিয়েছেন, আবেদির ভাই আর বাবা নিয়মিত মসজিদে গেলেও তাকে খুব একটা দেখা যেত না। আইএসের প্রতি সমর্থন রয়েছে— ২০১৫ সালে এমনটা জানানোর পর তার মসজিদ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। আর এ সময় থেকেই সে নজরে পড়ে পুলিশের। সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকা সত্ত্বেও গোয়েন্দা ও পুলিশের নজরে এড়িয়ে আবেদি কী ভাবে এ ভাবে বড় হামলা চালাল, এখন সেই প্রশ্নই উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy