ফাইল চিত্র।
কিমের সঙ্গে আবার বসতে রাজি: পম্পেয়ো
ওয়াশিংটন, ৮ অগস্ট: দু’দিন আগেই স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। তা সত্ত্বেও পিয়ংইয়্যাংয়ের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ফের আলোচনায় বসতে রাজি মার্কিন প্রশাসন। খোদ মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা বাহিনীর সঙ্গে আমেরিকার যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে। তাতে বরাবরই আপত্তি জানিয়ে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। এ বার তারই প্রতিবাদে এবং নিজেদের শক্তি যাচাইয়ে একটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি কিমের দেশ। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে আমেরিকার কানে এই খবর পৌঁছনোর পরেও মার্কিন প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখায়নি। বরং তারা আশা করছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে পারে তারা। বস্তুত গত দু’সপ্তাহে এই নিয়ে মোট চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়্যাং।
কিন্তু পম্পেয়ো স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার কৌশল ট্রাম্প প্রশাসন বদলয়ানি। আমরা পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে বিশ্বাসী। আশা করছি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফের আলোচনার টেবিলে বসবে দু’দেশ।’’
পম্পেয়োর ব্যাখ্যা, খুব সম্প্রতি কিমের দেশ পর পর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করলেও সেগুলি সব ক’টিই স্বল্প পাল্লার। ২০১৭-’১৮ সালে কিম যে ভাবে ট্রাম্প প্রশাসনকে সরাসরি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন, সেই সুরও এখন অনেকটাই নরম। এমনকি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে পিয়ংইয়্যাং আর কোনও পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও করেনি। ফলে পুরোপুরি না হলেও আমেরিকাকে দেওয়া কথা যে উত্তর কোরিয়া রাখছে, তাতে সন্তুষ্ট মার্কিন প্রশাসন। পম্পেয়ো বলেছেন, ‘‘এটা খুবই ভাল বিষয়।’’ সেই সঙ্গেই তার সংযোজন, গত বছর জুনে সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যা যা কথা হয়েছিল, তা ফের শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। তবে পম্পেয়োর বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি উত্তর কোরিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy