Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

কুর্দ সেনার মাথা কাটল জঙ্গিরা

ফের হুমকি ভিডিও প্রকাশ করল আইএস জঙ্গিরা। তবে এ বার বার্তা দেওয়া হল কুর্দিস্তানকে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক কুর্দ সেনার মাথা কেটে দিচ্ছে জঙ্গিরা। আমেরিকার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন না করলে ধৃত বাকি কুর্দ সেনাদেরও যে একই হাল হবে, ভিডিও থেকে সে বার্তাই স্পষ্ট। জুন থেকেই ইরাকি সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে আইএস জঙ্গিদের। পরে তাতে যোগ দেয় কুর্দিস্তানের পেশমেরগা বাহিনী।

সংবাদ সংস্থা
দামাস্কাস শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৪ ০২:৫৬
Share: Save:

ফের হুমকি ভিডিও প্রকাশ করল আইএস জঙ্গিরা। তবে এ বার বার্তা দেওয়া হল কুর্দিস্তানকে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক কুর্দ সেনার মাথা কেটে দিচ্ছে জঙ্গিরা। আমেরিকার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন না করলে ধৃত বাকি কুর্দ সেনাদেরও যে একই হাল হবে, ভিডিও থেকে সে বার্তাই স্পষ্ট।

জুন থেকেই ইরাকি সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে আইএস জঙ্গিদের। পরে তাতে যোগ দেয় কুর্দিস্তানের পেশমেরগা বাহিনী। তাদের সাহায্য করতে আকাশপথে নিয়ন্ত্রিত হামলার সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা। তার পর থেকে বহু বার জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বায়ুসেনা। তার সঙ্গেই মাটিতে আক্রমণ চালিয়েছে ইরাকি ও কুর্দ সেনার যৌথ বাহিনী। ত্রিমুখী আক্রমণ যে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে জঙ্গিদের, সেটা মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলির হত্যার পরই স্পষ্ট হয়। কিন্তু তাও থামেনি মার্কিন আক্রমণ। এ বার তাই লক্ষ্য কুর্দ বাহিনী।

ছ’মিনিটের যে ভিডিওটি এ দিন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে প্রথমে দেখা যায়, জনা পনেরো কুর্দ সেনা কমলা রঙের পোশাকে দাঁড়িয়ে। তাঁদের মধ্যে তিন জন কুর্দিস্তানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানির উদ্দেশে বলেন, “অবিলম্বে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করলে আমাদের প্রাণ যাবে।” এর পরই দেখা যায়, সড়কের ধারে হাঁটু গেড়ে বসে থাকা এক কুর্দ সেনার দিকে একে-৪৭ তাক করে রয়েছে তিন জঙ্গি। পিছনে বড় মসজিদ। যা দেখে অনেকের ধারণা ভিডিওটি মসুলে তোলা। সেখানেই ওই সেনার মুণ্ডচ্ছেদ করে জঙ্গিরা।

হুমকি-ভিডিও প্রথম বার দিল না আইএস জঙ্গিরা। ফোলি-হত্যার ভিডিও তো ছিলই, সম্প্রতি আরও একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় অন্তত দেড়শো জন সিরিয়ার সেনাকে হত্যা করছে জঙ্গিরা। প্রথমে তাঁদের নগ্ন করে মরুভূমির উপর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। একাংশের ধারণা, এর পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সেনা যারা জঙ্গিদের সঙ্গে লড়ছিল, তারা হয়তো ভয় পেয়ে পিছু হটে যাবে।

আইএস জঙ্গিরা যে আল-কায়দার থেকেও বড় ত্রাস, সে কথা অবশ্য স্বীকার করেছিল খোদ মার্কিন প্রশাসন। বিচ্ছিন্ন হামলা নয়। উত্তর ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে ‘রাজত্ব’ তৈরির লক্ষ্যে যে ভাবে লড়ে যাচ্ছে তারা, তার পর অনেকেরই ধারণা খুব সহজে এদের হার মানানো যাবে না। আশঙ্কার আরও বড় কারণ অবশ্য অন্যত্র। পশ্চিমী দুনিয়ার দেশগুলির ধারণা, তাদের বহু বাসিন্দাই আইএসের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। যোগ দিচ্ছে লড়াইয়ে। অনেককে আবার প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এখন আশঙ্কা, যদি সেই ‘প্রশিক্ষিত’ বাসিন্দারা দেশের ভিতরেই নাশকতা চালায়, তা হলে তা কী করে সামাল দেবে প্রশাসন? ব্রিটেনের কাছে আগেই খবর ছিল, তাদের অন্তত ৫০০ বাসিন্দা আইএস-এ যোগ দিয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইও খবর পেয়েছে, তাদের প্রায় ১২ জন বাসিন্দা আইএসে যোগ দিয়েছে। এবং তাদের বেশিরভাগই তরুণ। এবং চিন্তাটা সে কারণেই আরও বেশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE