বাংলাদেশ আর কখনও স্বৈরশাসনের পথে ফিরবে না। দেশের গণতন্ত্র আর কখনও সঙ্কটের মুখে পড়বে না। শুক্রবার রাষ্টপুঞ্জের সাধারণ ৮০তম সাধারণ সভায় বক্তৃতায় এই দাবি করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
নোবেলজয়ী সমাজকর্মী শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে বলেন, ‘‘স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কারের কাজ চালাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’’ তাঁর দাবি, দলমত নির্বিশেষে, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই দেশের গণতন্ত্র ও প্রশাসনিক সংস্কারের কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘‘‘গত বছর এই মহান সভায় আমি দাঁড়িয়েছিলাম সদ্য গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত একটি দেশের রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা আপনাদের শোনানোর জন্য। আজ আমি এই রূপান্তরের পথে অগ্রগতির কথা জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন:
ইউনূসের দাবি, সাম্য, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ দশকে সেই অধিকার বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে আর জনগণকে বারবার সেই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। তাঁর মন্তব্য ‘‘আত্মত্যাগের মাধ্যমে গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুবসমাজ স্বৈরাচারকে পরাস্ত করেছিল।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তৃতার আগে বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে দাঁড়িয়ে ভারতকেও নিশানা করেছিলেন ইউনূস। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ছাত্ররা যা করেছেন, সেটা ভারতের পছন্দ নয়। কারণ, ওই বিক্ষোভই শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, স্বৈরাচারী হাসিনাকে নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করছিল ভারত।