বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রীয় সেনানিবাসের একাংশে জেলখানা গড়ার সিদ্ধান্ত নিল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি নির্দেশিকার উল্লেখ করে সোমবার এ কথা জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’। শেখ হাসিনার আমলে ‘গুম করে নির্যাতন’, এবং জুলাইয়ের গণআন্দোলনের সময়ে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’-এ জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার ১৫ জন সেনাকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। ঘটনাচক্রে তার পরেই এই সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রবিবার প্রকাশিত ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত এমইএস বিল্ডিং নম্বর ৫৪-কে সাময়িক ভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হল। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হল। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’’ তবে ওই ‘সাময়িক কারাগারে’ কোন বন্দিদের রাখা হবে, সে বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকায় কিছু বলা হয়নি। সেনা হেফাজতে থাকা ওই অফিসারদের মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে সেনায় কর্মরত। আর এক জন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দু’টি মামলায় এবং গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় মোট ২৫ জন অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই জেরে ওই ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। ওই ২৫ জনের তালিকায় কর্মরত ১৬ সেনাকর্তার নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে হাসিনার আমলের সামরিকসচিব মেজর জেনারেল কবীর আহম্মদ ছাড়া বাকি সকলকেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। সেনার অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কবীর ‘আত্মগোপন’ করে রয়েছেন। তাই তাঁর নাগাল মেলেনি।