প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ দেখতে গেলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে।

বাংলাদেশের ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
‘আয়নাঘরে’ ঢুকে বিভিন্ন গোপন কক্ষ পরিদর্শন করেন ইউনূস। তাঁর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত একাধিক ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় ইউনূস। ছবি: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ইউনূসের সঙ্গে বুধবার ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ সংক্রান্ত উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশের কুখ্যাত সেই ‘আয়নাঘর’। ছবি: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এ ছাড়াও ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁঞা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গত ৫ অগস্ট আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসেন ভারতে। তার পর ৮ অগস্ট গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার সময়কালে বাংলাদেশের বহু সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে অন্তর্বর্তী সরকার। উঠে আসে ‘আয়নাঘর’-এর কথা।

‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। ছবি: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
অভিযোগ, হাসিনার আমলে কেউ সরকার বা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করলেই তাঁদের গ্রেফতার করা হত। সরকার এমন এক গোপন বন্দিশালা তৈরি করেছিল, যেখানে ধৃত ব্যক্তিদের বিনা বিচারে দিনের পর দিন আটকে রাখা হত। তাঁদের ‘গুম’ করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে এই গুম সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। গঠন করা হয় নতুন তদন্ত কমিশন। বুধবার ইউনূসের সঙ্গে ওই তদন্ত কমিশনের সদস্যেরাও ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন। সঙ্গে ছিলেন সাংবাদিকেরাও।