মেলবোর্নে ফরাসি দূতাবাসের কর্মীদের বাইরে বের করে চলছে তল্লাশি। ছবি: এপি
রহস্যজনক প্যাকেটে তীব্র আতঙ্ক ছড়াল অস্ট্রেলিয়ার ভারতীয় দূতাবাসে। তবে শুধু ভারতই নয়, ইংল্যান্ড, আমেরিকা-সহ এশিয়ার অনেক দেশের দূতাবাস ও উপ-দূতাবাসে ওই রহস্যজনক প্যাকেট পৌঁছেছে। ওই সব দূতাবাস খালি করে দেওয়া হয়েছে। দূতাবাসগুলি ঘিরে রেখেছেন ‘এমার্জেন্সি সার্ভিসেস’-এর কর্মীরা। প্যাকেট পরীক্ষার জন্য রয়েছেন রাসায়নিক বিশেষজ্ঞরাও।
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। এছাড়া মেলবোর্নে রয়েছে উপ-দূতাবাস। অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার সকালে মেলবোর্নে ভারতীয় উপ-দূতাবাসে এসে পৌঁছয় একটি প্যাকেট। তার পরই দূতাবাস কর্মীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দফতর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন কর্মীরা। পুলিশ-প্রশাসনকে খবর দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা পৌঁছে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন। খবর দেওয়া হয় ‘হজমত’ বিভাগের কর্মীদের। এই ‘হজমত’ কর্মীরা মূলত রহস্যজনক বস্তু বা রাসায়নিক নিয়ে তদন্ত ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। তবে ক্যানবেরায় দূতাবাসে এই ধরনের প্যাকেট না পৌঁছলেও কর্মীদের বাইরে বের করে তল্লাশি চলে সেখানেও।
পরে জানা যায়, শুধু ভারত নয়, একই রকম প্যাকট পৌঁছেছে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, জাপান, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, গ্রিস, স্পেন, সুইৎজারল্যান্ড ক্রোয়েশিয়া, মিশরের মতো দেশের দূতাবাস এবং উপ-দূতাবাসেও। সেই সব কার্যালয়ও একই ভাবে খালি করে দিয়ে তদন্তে নেমেছেন গোয়েন্দারা।
মেলবোর্নে দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের ভিতর থেকে সন্দেহজনক প্যাকেট নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন এক দমকল কর্মী। ছবি: এপি
আরও পড়ুন: ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
আরও পড়ুন: এটাই বিদেশে ভারতের সেরা জয় নয়, উল্টো সুর মঞ্জরেকরের
অস্ট্রেলীয়ার এক পুলিশ কর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘এমার্জেন্সি সার্ভিসেস এর কর্মীরা প্যাকেটগুলি পরীক্ষা করছেন। কোথা থেকে কী ভাবে ওই প্যাকেটগুলি পাঠানো হয়েছে, সেই সব বিষয়ে জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। পাশাপাশি ওই প্যাকেটগুলিতে কী আছে, তা পরীক্ষা করে দেখছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞরা।
BREAKING: Paramedics enter the Korean embassy in Melbourne, joining firefighters inside, after a suspicious package was sent. Multiple embassies being investigated right now after receiving similar packages. @7NewsMelbourne pic.twitter.com/KTY4HN0EDf
— Kristy Mayr (@KristyMayr7) January 9, 2019
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy