এ বার আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশেও নামানো হল সেনা! টেক্সাসের বিভিন্ন প্রান্তে সেখানকার ন্যাশনাল গার্ড (আমেরিকার সেনার একটি বাহিনী, যাদের দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়) মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে গত কয়েক দিন ধরে আমেরিকার অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ চলছে। শুধু লস অ্যাঞ্জেলেসেই নয়, ক্যালিফর্নিয়ার অন্য শহরগুলিতে, এমনকি অন্য প্রদেশেও ছড়াতে শুরু করেছে বিক্ষোভ। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ টেক্সাসের কিছু জায়গাতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। তার আগে টেক্সাসেও মোতায়েন করা হচ্ছে ন্যাশনাল গার্ড।
মঙ্গলবার বেশি রাতের দিকে (স্থানীয় সময় অনুসারে) অ্যাবট সমাজমাধ্যমে জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে। তবে কোন কোন বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেননি তিনি। অ্যাবটের বক্তব্য, ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আইনি। কিন্তু কোনও ব্যক্তি বা সম্পত্তির ক্ষতি করা বেআইনি। সে ক্ষেত্রে গ্রেফতার করা হতে পারে। টেক্সাসের ন্যাশনাল গার্ড প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে স্থানীয় পুলিশকে সাহায্যের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করবে।’’
সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, বুধবার এবং শনিবার দক্ষিণ টেক্সাসের বেশ কিছু সংগঠন আমেরিকার অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে পারে। তার মধ্যে টেক্সাসের স্যান অ্যান্টোনিও শহরে ‘নো কিংস’ নামে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে শনিবার। টেক্সাসের ডালাস শহরেও অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। ঠিক এমন একটি সময়ে টেক্সাস শহরেও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের পাশাপাশি নামানো হল সেনাও। এমন কিছু যে হতে পারে, তার আভাস আগেই দিয়েছিলেন টেক্সাসের গভর্নর অ্যাবট।
আরও পড়ুন:
লস অ্যাঞ্জেলেসের পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটেল, ডেনভার, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টা-সহ আমেরিকার বিভিন্ন বড় শহরে অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে গত কয়েক দিন ধরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে নামানো হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড। আমেরিকার নৌসেনার মেরিনবাহিনীকেও সাময়িক ভাবে মোতায়েন করা হচ্ছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস। বেশ কিছু জায়গায় লুটপাটের অভিযোগও উঠে এসেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরের স্পর্শকাতর কিছু অঞ্চলে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস।