জাহরান হাশিম
শ্রীলঙ্কায় রবিবারের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে নাম জড়ালেও ‘ন্যাশনাল তৌহিত জামাত’ (এনটিজে) নামে এই গোষ্ঠী এর আগে কোনও জঙ্গি হামলা ঘটিয়েছে, এমন নজির মেলেনি। তবে গত বছর কেগল জেলায় বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস করার ঘটনায় এনটিজে-র নাম উঠে এসেছিল। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রজিত সেনারত্নে জানিয়েছেন, এরা স্থানীয় গোষ্ঠী। সদস্যরাও শ্রীলঙ্কার নাগরিক। তবে তিনি বলেন, ‘‘এনটিজে-র সঙ্গে অবশ্যই কোনও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর যোগাযোগ ছিল। তা না হলে এত বড় মাপের হামলা ঘটানো সম্ভব হত না।’’ কেউ কেউ বলছেন, কট্টরপন্থী সংগঠন ‘শ্রীলঙ্কা তৌহিত জামাত’ (এসএলটিজে) থেকে বেরিয়ে এসে এনটিজে তৈরি হয়েছে। এসএলটিজে যদিও গত কালের হামলার নিন্দা করে বলেছে এনটিজে-র সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। বছর দুয়েক আগে আবার এসএলটিজে-র সম্পাদক আব্দুল রেজ্জাককে বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে আত্মঘাতী বোমারুর একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের দাবি, জাহরান হাশিম নামে এক মৌলবীর ছবি সেটি। সে ইউটিউবে প্ররোচনামূলক ভিডিয়ো পোস্ট করত। কলম্বোর শাংগ্রি লা হোটেলে সে নিজেকে উড়িয়ে দেয় বলে দাবি। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ৪ এপ্রিল জাহরান কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশনেও হামলা চালাতে চেয়েছিল, শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
এনটিজে নিজে থেকে বিস্ফোরণের দায় নেয়নি। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, এই গোষ্ঠীটি জঙ্গি সংগঠন আইএস দ্বারা প্রভাবিত। ঘটনাচক্রে, আইএস-ও শ্রীলঙ্কার বিস্ফোরণের খবরে উল্লসিত বলে জানা গিয়েছে একটি সূত্রে। তাদের দাবি, নিউজ়িল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হল শ্রীলঙ্কার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে।
অতীতে শ্রীলঙ্কায় ইসলামি সন্ত্রাসের নজির তেমন নেই। এনটিজে কী ভাবে এখানে এত বড় হামলা চালাল, উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে দাবি, শ্রীলঙ্কায় উচ্চশিক্ষিত, অভিজাত মুসলিম পরিবারের বেশ কিছু সদস্য সিরিয়ায় আইএস গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। গত কালের বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বেশি কোনও তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, কট্টরপন্থীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ওদের পরিচয় প্রকাশ করে ‘শহিদ’ হওয়ার সুযোগ করে দেবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy