হাফিজের সংগঠনকে অনুদানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দাতব্য সংগঠন নাম দিয়ে যে সব সংগঠন চালায় হাফিজ, সেগুলিকেও পাক প্রশাসন অধিগ্রহণ করতে পারে বলে খবর। ছবি: এএফপি।
হাফিজ সইদ এবং মাসুদ আজহারের সংস্থাকে কোনও অনুদান নয়। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে এমন নির্দেশিকা জারি করল পাকিস্তানের সরকার।
বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার কাছ থেকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি যাতে অনুদান নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের সরকার আগেই নিয়েছিল। সপ্তাহ খানেক আগে সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু পাকিস্তানের প্রশাসন তখনও সে বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি। এ বার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাও হয়ে গেল। একাধিক উর্দু সংবাদপত্রে বিজ্ঞপন দিয়ে সে দেশের সরকার জানিয়ে দিল, লস্কর-ই-তৈবা, জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশনকে কোনও আর্থিক অনুদান দেওয়া যাবে না। জইশ-ই-মহম্মদকেও অনুদান দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
মোট ৭২টি সংগঠনকে জঙ্গি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছে পাক প্রশাসন। হাফিজের লস্কর, জামাত-উদ-দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশন এবং মাসুদের জইশ সেই তালিকায় রয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সন্ত্রাস বিরোধী আইন এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা অনুসারে এই সব সংগঠনকে অনুদান দেওয়া অপরাধ। সরকারি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে যাঁরা এই সব সংগঠনকে অনুদান দেবেন, তাঁদের ১০ বছরের জেল বা ১ কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে। জেল ও জরিমানা একসঙ্গেও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জ যাকে জঙ্গি ঘোষণা করেছে, সেই হাফিজ সইদের নানা কর্মসূচি কিন্তু প্রকাশ্যেই চলছে পাকিস্তানে। ছবি: এএফপি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১ জানুয়ারি টুইট করে পাকিস্তানকে চড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। আমেরিকার কাছ থেকে ১৫ বছর ধরে ৩৩০০ কোটি ডলার অনুদান নিয়েও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে ট্রাম্প লিখেছেন। ট্রাম্পের এই টুইটের পরে পাকিস্তানকে প্রদেয় বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান আটকে দিয়েছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন: কিমের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে আপত্তি নেই ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: শেষ হচ্ছে কাস্ত্রো যুগ, কিউবায় ভোট হবে ১১ মার্চ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চড়া সুর এবং অনুদান আটকে দেওয়ার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া বেশ চড়া। পাক বিদেশ মন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ দফায় দফায় মুখ খুলেছেন। আমেরিকাকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেছেন। আমেরিকা অনুদান বন্ধ করে দিলে পাকিস্তানের কিছুই যায়-আসে না, এমন মন্তব্যও তিনি করেছেন। কিন্তু মুখে পাকিস্তান যা-ই বলুক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার ছবি তুলে ধরে তারা যে ফের মার্কিন অনুদানের দরজাই খুলতে চাইছে, সে বিষয়ে কূটনীতিকদের অনেকেই একমত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy