Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মার্কিন বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান

মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে জারি করা এই বিবৃতির কিছু ক্ষণ পরেই পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জ়ল বলেন, ‘‘মার্কিন বিদেশ দফতর থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। আমরা তার বিরোধিতা করছি। সন্ত্রাসদমন নিয়ে দু’পক্ষের কোনও কথা হয়নি। দ্রুত ওই বিবৃতি সংশোধন করা হোক।’’

মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো

মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৩৫
Share: Save:

নতুন করে আমেরিকার সঙ্গে বাগ্‌যুদ্ধে জড়াল পাকিস্তান সরকার।

পাক প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খান দায়িত্ব নেওয়ার পরে কাল প্রথম তাঁকে ফোন করেছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। দু’পক্ষের কথার পরে মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, সন্ত্রাসদমনে ইসলামাবাদকে কঠোর পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন বিদেশসচিব পম্পেয়ো। একই সঙ্গে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানকে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

কিন্তু মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে জারি করা এই বিবৃতির কিছু ক্ষণ পরেই পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জ়ল বলেন, ‘‘মার্কিন বিদেশ দফতর থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। আমরা তার বিরোধিতা করছি। সন্ত্রাসদমন নিয়ে দু’পক্ষের কোনও কথা হয়নি। দ্রুত ওই বিবৃতি সংশোধন করা হোক।’’

এমনিতেই সন্ত্রাস দমন নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রবঞ্চনা ছাড়া ওয়াশিংটনকে আর কিছুই দেয়নি ইসলামাবাদ। এ দিকে, সন্ত্রাসবাদীদের জন্য স্বর্গরাজ্য সেখানে।’’

পাক ভোটে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ় সইদের ভূমিকা নিয়ে বরাবরই উষ্মা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি প্যারিসের সম্মেলনে ‘ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ও পাকিস্তানের নাম ধূসর তালিকায় পাঠায়। এর কারণও সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদের ব্যর্থতা। একই পথে হেঁটে মার্কিন কংগ্রেসও পাক প্রতিরক্ষা খাতে অনুদানে কাটছাঁট করে ১৫ কোটি ডলার ধার্য করে এ বছর। যেখানে এত দিন পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলার অনুদান দেওয়া হত।

পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠনের পরে শুভেচ্ছা জানায় আমেরিকা। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মার্কিন বিদেশসচিবের ইসলামাবাদ সফরে যাওয়ার কথাও রয়েছে। গত কাল ইমরান-পম্পেয়ো কথার পরে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র হেদার নওয়ার্ট বিবৃতি দেন, সদ্য নির্বাচিত পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোন বার্তায় সন্ত্রাস দমন নিয়ে কথা হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতেও পাকিস্তানকে সদর্থক ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে।

এ দিন পাকিস্তান ওই বিবৃতির বিরোধিতা করলেও মার্কিন বিদেশ দফতর তাদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। নওয়ার্ট আজ জানান, ইমরানের সঙ্গে যথেষ্ট সদর্থক কথা হয়েছে। এবং তাদের জারি করা ওই বিবৃতিও সঠিক। তিনি বলেন, ‘‘অনেকের কাছে বিষয়টা অবিশ্বাস্য ঠেকলেও, দু’পক্ষের কথাবার্তা যথেষ্টই ভাল হয়েছে। আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী পাকিস্তান। আশা করি সে দেশের নতুন সরকারের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হবে আমাদের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pakistan Mike Pompeo Imran Khan Terrorism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE