Advertisement
১৭ মে ২০২৪

আমেরিকার কলেজে হত্যাকাণ্ড: পিছনে ধর্ম-বিতৃষ্ণা?

নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষকে মারতে চেয়েই কি এই হামলা? বৃহস্পতিবার রোজবার্গ শহরের উমপকুয়া কমিউনিটি কলেজে ক্লাস চলাকালীন হামলাকারী কি খ্রিস্টানদেরই টার্গেট করেছিল? প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে আপাতত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

ছবি: টুইটার।

ছবি: টুইটার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৫ ১৮:০৪
Share: Save:

নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষকে মারতে চেয়েই কি এই হামলা? বৃহস্পতিবার রোজবার্গ শহরের উমপকুয়া কমিউনিটি কলেজে ক্লাস চলাকালীন হামলাকারী কি খ্রিস্টানদেরই টার্গেট করেছিল? প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে আপাতত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

অ্যানাস্টাসিয়া বয়লান নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ‘‘ওই দিন বন্দুকবাজ ক্লাসের ভিতরে ঢুকে এসে সমস্ত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উঠে দাঁড়াতে বলে। তার পর তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে।’’ মারার আগে তাঁদের উদ্দেশ্যে বন্দুকবাজ শুধু মাত্র একটি কথাই বলছিল, ‘‘খুব ভাল। তুমি খ্রিস্টান তাই কিছু ক্ষণের মধ্যেই তুমি তোমার ঈশ্বরকে দেখতে পাবে।’’

অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ক্লাসে ঢুকে বন্দুকবাজ প্রথমেই সকলের ধর্ম জানতে চায়। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী পড়ুয়াদের মাথায় এবং অন্য ধর্মের পড়ুয়াদের পায়ে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে পরিষ্কার হামলাকারীর লক্ষ্য ছিল খ্রিস্টানরাই।

কিন্তু কেন খ্রিস্টানদেরই সে টার্গেট করল? না কি রোজবার্গে খ্রিস্টান ধর্মের প্রাধান্য বেশি বলেই সে এ রকম করল?

তদন্তকারীরা তার পরিবার এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। উঁকি মারেন তার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টেও। জানা যায়, সাধারণত কম কথা বলে বন্দুকবাজ ক্রিস হারপার। ব্যক্তিগত জীবনে কোনও ধর্মের প্রাধান্য সে মেনে নিতে পারত না। মানুষের ধর্ম প্রীতির প্রতি তার বিদ্বেষ ছিল। এমনকি তার ইন্টারনেট প্রোফাইল ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পূর্ব পরিকল্পিত এই হামলার বিষয়ে আগেই সে সতর্ক করে দিয়েছিল। ইন্টারনেটে অ্যাকাউন্টে তার শেষ পোস্ট, ‘‘উত্তরপশ্চিমের বাসিন্দারা কেউ স্কুলে না গেলেই ভাল।’’

এই সংক্রান্ত আরও খবর:
মার্কিন ক্যাম্পাসে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ১০, নিন্দা ওবামার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE