ওসামা বিন লাদেন।
‘‘ছেলে যে জেহাদি হয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পেরেছিলেন?’’
‘‘না, কখনও মনেই হয়নি।’’
‘‘যখন জানলেন?’’
‘‘মেনে নিতে পারিনি। ও কেন সব ছেড়েছুড়ে চলে গেল?’’ এই প্রথম মুখ খুললেন ওসামা বিন লাদেনের মা আলিয়া ঘানেম।
সৌদি আরবের জেড্ডায় পারিবারিক প্রাসাদে বসে লন্ডনের এক সাংবাদিকের সঙ্গে সম্প্রতি কথা বলেছেন আলিয়া। সঙ্গে ছিলেন দ্বিতীয় স্বামী মহম্মদ আল-আটাস, ওসামার দুই ভাই আহমেদ এবং হাসান। দ্বিতীয় স্বামী সম্পর্কে আলিয়া প্রথমেই বলেন, ‘‘খুব ভাল মানুষ। ওসামাকে তিন বছর বয়স থেকে মানুষ করেছেন।’’ সিরিয়ার লাটাকিয়া শহরে জন্ম আলিয়ার। গত শতাব্দীর ৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সৌদি আরবে আসেন তিনি। ১৯৫৭ সালে জন্ম ওসামার। তিন বছর পরে ওসামার বাবা মহম্মদ বিন আওয়াদ বিন লাদেনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় আলিয়ার।
মা জানিয়েছেন, পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল বড় ছেলে ওসামা। তাঁকে খুব ভালও বাসত। কিন্তু কুড়ি বছর বয়সে কিং আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি পড়তে গিয়েই সর্বনাশ। মায়ের কথায়, ‘‘ইউনিভার্সিটিতেই কয়েক জন ওর মগজ ধোলাই করে। একে ‘কাল্ট’ বলতে পারেন। সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে যাচ্ছিল ছেলেটা। বারণ করতাম ওই লোকগুলোর থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু ও কী করছে, আমাকে বলত না। আমাকে খুব ভালবাসত বলেই বোধহয়।’’ আর হাসান এখন সতর্ক করেছেন ভাইপো, ওসামা-পুত্র জঙ্গি নেতা হামজাকে। বলেছেন, ‘‘বাবার পথে যেও না।’’
১৯৯৯ সালে কন্দহরে ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মায়ের। তবে বৃদ্ধা বার বার বলেছেন, ‘‘ছেলেটা কত দূরে থাকত আমার থেকে। মেনে নেওয়া বড় কঠিন। বড় কষ্টের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy