পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জ়ারদারি। বৃহস্পতিবার রাতে পাক সরকারের দুই শীর্ষকর্তার মধ্যে এই বৈঠকটি হয়। দু’জনের বৈঠকের পর পাকিস্তানের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করবে না ইসলামাবাদ। বিবৃতিতে ভারতের নাম না-করে হুঁশিয়ারির সুরে লেখা হয়, “যে কোনও আগ্রাসী আচরণের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।”
বর্তমানে জ়ারদারির দল পাকিস্তান পিপল্স পার্টি (পিপিপি) এবং শাহবাজ়ের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ় (পিএমএল-এন) জোট বেঁধে সরকার চালাচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর এই প্রথম বৈঠকে বসেন শাহবাজ় এবং জ়ারদারি। দু’জনের বৈঠকের পর সেনার পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছে পাকিস্তান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং সশস্ত্র বাহিনীর পাশে রয়েছে।” পাক সেনা যে কোনও আগ্রাসী আচরণের মোকাবিলায় সক্ষম বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
বস্তুত, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রতি রাতেই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে নয়াদিল্লিতে ঘন ঘন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে।
আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার নিন্দায় সরব হয়েছে। তবে ভারত যে পাকিস্তানি জঙ্গিযোগের দাবি তুলেছে, সেই নিয়ে আমেরিকা বা অন্য কোনও তৃতীয় দেশ কোনও মন্তব্যই করেনি। জঙ্গিহানার নিন্দা জানালেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও দেশ প্রকাশ্যে সরব হয়নি।