Advertisement
E-Paper

কাশ্মীর নিয়ে টাইমস স্কোয়ারে পাক প্রচার

সকাল থেকেই নিউ ইয়র্কের ব্যস্ত রাস্তায় ভিড় ট্যাক্সি, ট্রাকের। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নিগ্রহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে সেই সব গাড়িতে করে এসেছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের আশপাশেও পৌঁছে গিয়েছে ট্যাক্সি। কোনও গাড়িতে লেখা, ‘পাকিস্তান: রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সনদের বাইরে থাকা একটা দেশ’, কোথাও লেখা, ‘পাকিস্তানে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ চাই।’ 

সংবাদ সংস্থা 

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৩
‘কাশ্মীরের পাশে দাঁড়ান’। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে পাক বিজ্ঞাপন। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া

‘কাশ্মীরের পাশে দাঁড়ান’। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে পাক বিজ্ঞাপন। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া

রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন চলছে ভারত-পাক দ্বৈরথের প্রস্তুতি, তার কিছু ক্ষণ আগেই সেই উত্তেজনা নিয়ে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের যুদ্ধ দেখল নিউ ইয়র্ক। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে অসংখ্য গাড়ি আর ট্রাকের গায়ে এলইডি বোর্ডে আজ জ্বলে উঠেছিল বিভিন্ন প্রশ্ন। আবার কিছুটা দূরে ভারতকে নিশানা করতে টাইমস স্কোয়ারে লেখা হল, ‘কাশ্মীরের পাশে দাঁড়াও (স্ট্যান্ড উইথ কাশ্মীর)’।

সকাল থেকেই নিউ ইয়র্কের ব্যস্ত রাস্তায় ভিড় ট্যাক্সি, ট্রাকের। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নিগ্রহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে সেই সব গাড়িতে করে এসেছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের আশপাশেও পৌঁছে গিয়েছে ট্যাক্সি। কোনও গাড়িতে লেখা, ‘পাকিস্তান: রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সনদের বাইরে থাকা একটা দেশ’, কোথাও লেখা, ‘পাকিস্তানে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ চাই।’

বিপরীত দৃশ্য টাইমস স্কোয়ারে। কাশ্মীরকে ‘আটকে রাখার’ প্রতিবাদে সেখানে বিরাট মাপের আলোকিত পাক প্রচার। রাষ্ট্রপুঞ্জে নরেন্দ্র মোদী ও ইমরান খানের বক্তৃতার আগে কাশ্মীরের বিষয়টি ফের প্রচারে আনার চেষ্টা। পাক সরকার আবার টুইট করেছে, ‘‘কূটনীতির সর্বোচ্চ স্তরে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের কথা নিয়ে আলোচনা হবে। টাইমস স্কোয়ারে তাই ‘স্ট্যান্ড উইথ কাশ্মীর’-এর আলো জ্বলছে।’’

যদিও নিউ ইয়র্কে দাঁড়িয়ে করাচির প্রাক্তন মেয়র ওয়াসে জলিলই বললেন, ‘‘পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নিগ্রহ চলছে দশকের পর দশক। ২৫ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ কোথায় হারিয়ে গিয়েছে কেউ জানে না। পাকিস্তান যা করেছে, তা গোটা বিশ্বকে জানানো দরকার।’’

পাকিস্তানে ভয়েস অব করাচি-র চেয়ারম্যান নাদিম নুসরত বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান বলে, ভারত নাকি মুসলিমদের বিরুদ্ধে।... নিজের দেশের মানুষকে অবহেলা করে সীমান্তপারের মানুষদের নিয়ে পাকিস্তান যখন কথা বলে, তার কোনও অর্থ হয় না। পাক প্রধানমন্ত্রী আগে ঘরের সমস্যা মেটান, তার পরে অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলুন।’’ প্রশ্ন উঠছে অপচয়েরও। টাইম স্কোয়ারে ৩০ সেকেন্ডের স্পটের জন্য বছরে খরচ হয় মোটামুটি ৩৮ লক্ষ ডলার (প্রায় ৫৯.৬০ কোটি পাকিস্তানি রুপি বা ২৬.৮৬ কোটি ভারতীয় টাকা)। চরম বেহাল আর্থিক দশার কারণে আইএমএফ, চিন ও আরব দেশগুলি থেকে ক্রমাগত অর্থ সাহায্য বা ঋণ নিতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর পরিকাঠামো নির্মূল করতে না-পারায় তার পথও কঠিন হয়ে উঠছে। এর মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে ঢাক পেটাতে বিপুল খরচ করে পাকিস্তান কি নিজেকেই পিছিয়ে দিচ্ছে না— উঠেছে সেই প্রশ্নও।

Times Square America Imran Khan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy