Advertisement
E-Paper

জঙ্গি দমনে পাকিস্তানে ব্যাপক ধরপাকড়, পঞ্জাব জুড়ে মোতায়েন রেঞ্জার্স

সন্ত্রাস রুখতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হল পাকিস্তানে। গোটা দেশে আধা-সামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে। জঙ্গি সন্দেহে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৬০০ জনকে। ইসলামাবাদ সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি ধরপাকড় শুরু হয়েছে পঞ্জাবে। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাদ-উল-ফসাদ’।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৪:৪৯
লাহৌরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় রেঞ্জার্সের। ছবি: এএফপি।

লাহৌরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় রেঞ্জার্সের। ছবি: এএফপি।

সন্ত্রাস রুখতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হল পাকিস্তানে। গোটা দেশে আধা-সামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে। জঙ্গি সন্দেহে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৬০০ জনকে। ইসলামাবাদ সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি ধরপাকড় শুরু হয়েছে পঞ্জাবে। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাদ-উল-ফসাদ’। এখনও পর্যন্ত মূলত পাক সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সকেই এই কাজে লাগানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর সেই চাপ তীব্রতর হয়। ইসলামাবাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল নয়াদিল্লিও। যে কোনও মুহূর্তে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে প়ড়তে পারে পাকিস্তান, বুঝতে পারছিলেন নওয়াজ শরিফ। তাই লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদকে গত ৩০ জানুয়ারি গৃহবন্দি করে নওয়াজ শরিফ প্রশাসন। তার পর থেকেই নওয়াজের উপর খড়্গহস্ত পাকিস্তানের কট্টরবাদী সংগঠনগুলি। খড়্গহস্ত ভারত-বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলিও। গত সপ্তাহখানেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশ কেঁপে উঠেছে আত্মঘাতী হানায়। সবচেয়ে বড় হামলা হয়েছে পঞ্জাবের লাহৌর এবং সিন্ধের সেহওয়ানে। এর পরে আর চুপচাপ বসে থাকতে পারেনি নওয়াজের প্রশাসন। পাক সেনার নেতৃত্বে অপারেশন রাদ-উল-ফসাদ শুরু করা হয়েছে। রেঞ্জার্স বাহিনীকেই মূলত ময়দানে নামানো হয়েছে।

পর পর আত্মঘাতী হানার জেরে তৎপরতা পাক পুলিশেও। ছবি: এএফপি।

পাক সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্জাবের বিভিন্ন অংশে অন্তত ২০০টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে রেঞ্জার্স। বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ৪ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬০০ জনকে। অভিযানের সময় বিভিন্ন সন্দেহভাজন বাড়ি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঢুকে তল্লাশি চালিয়েছে রেঞ্জার্স। যারা গ্রেফতার হয়েছে, তাদের অধিকাংশই জামাত-উল-অহরর (জেইউএ) নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে খবর। লাহৌরের মল রোডে এবং সেহওয়ানের দরগায় এই সংগঠনটিই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে পাক সেনার দাবি।

আরও পড়ুন: ভারত ছেড়ে পালিয়ে আইএস-এ যোগ দেওয়া যুবক হত ড্রোন হামলায়

পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই অভিযান এখন চলবে বলে ইসলামাবাদ সূত্রের খবর। শুরুতে শুধু রেঞ্জার্সকে ময়দানে নামানো হয়েছে। কিন্তু একে একে সিভিল আর্মড ফোর্সেস, পাক বিমানবাহিনী এবং পাক নৌবাহিনীও অভিযানে নামবে বলে জানা যাচ্ছে।

Pakistan Terrorism Rangers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy