শরিফের ইস্তফা চেয়ে বিক্ষোভ

বিক্ষোভ চলছেই। দাবি সেই একই, পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পদত্যাগ। রবিবার বিরোধী দলনেতা ইমরান খান সাফ জানিয়ে দিলেন, অস্বচ্ছ ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, আজকের দিনটা পাকিস্তানের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর এক বিরোধী দল, পাকিস্তান আওয়ামি তাহরিক-এর নেতা তাহির-উল কাদরি নওয়াজ শরিফের পদত্যাগ করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরেই এই ঘোষণা। ২০১৩ সালে ৩৪২টির মধ্যে ১৯০টি আসন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন নওয়াজ শরিফ। ইমরান খানের দল পায় ৩৪টি আসন। তখনই অভিযোগ ওঠে, কারচুপি করে জিতেছেন নওয়াজ। দাবি ওঠে পুনর্নির্বাচনের। দাবি ওঠে নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের।

সেই দাবিতেই বৃহস্পতিবার লাহৌর থেকে মিছিল শুরু করেন ইমরান খান। শনিবার ইসলামাবাদে পৌঁছে বিভিন্ন জায়গায় ধর্নায় বসেছেন ইমরান এবং কাদরির হাজার হাজার সমর্থক। যত দিন না স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন শরিফ, তত দিন বিক্ষোভ চলবে। শরিফের গ্রেফতারির দাবি তুলে তাঁরা জানিয়েছেন, নতুন করে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত না হলে ধর্না ছেড়ে উঠবেন না। কড়া নিরাপত্তা ভেঙে পার্লামেন্ট ও সংলগ্ন ‘রেড জোন’-এও পৌঁছে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

সরকার জানিয়েছে পার্লামেন্টের কাছাকাছি যাতে বিক্ষোভকারীরা পৌঁছতে না পারেন তার জন্য রাস্তায় জাহাজের কন্টেনর ফেলে, কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মজুদ রাখা হয়েছে অতিরিক্ত ৩০ হাজার নিরাপত্তা রক্ষীও।