ছবি-এপি।
না, ‘যুদ্ধং দেহি’ মনোভাব আর নেই। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর ভরসা আছে। এক মাস পনেরো দিনের ব্যবধানে তা ফের বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের আগের দিন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, মোদী ক্ষমতায় ফিরলে আলাপ-আলোচনায় সমস্যা মেটার আশা বেশি। আর ফলাফল ঘোষণার দু’দিনের মাথায়, শনিবার পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বললেন, ‘‘বকেয়া সব সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তৈরি হয়েই রয়েছে ইসলামাবাদ।’’
রেডিও পাকিস্তানের খবর, শনিবার মুলতানে ইফতারের নৈশভোজে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, এই অঞ্চলের (পড়ুন, ভারতীয় উপমহাদেশ) শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থেই এ বার আলোচনার টেবিলে বসে পড়া উচিত ভারত ও পাকিস্তানের। তার জন্য পাকিস্তান তৈরিই রয়েছে।
সেই আলোচনার ভিতটাও বানিয়ে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিনেই বিজেপি ও তার শরিকদের বিপুল জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান খান। ইংরেজি ও উর্দুতে পাঠানো সেই টুইট-বার্তায় ইমরান লেখেন, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ওঁর (নরেন্দ্র মোদী) সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পুলওয়ামা কাণ্ডের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তোলার ব্যাপারে পাকিস্তানের আগ্রহের কারণ, আন্তর্জাতিক চাপ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে ইসলামাবাদের কাঁধে আইএমএফ-সহ বিভিন্ন দেশের ঋণের বোঝা কিছুটা হাল্কা হওয়ার আশায় রয়েছেন ইমরান।
আরও পড়ুন- সংবিধানকে প্রণাম করে সংখ্যালঘুদের বিশ্বাস অর্জন করার আশ্বাস মোদীর
আরও পড়ুন- ইমরানের বার্তা ভাবী সরকারকে
তাই লোকসভা ভোটের ফল-ঘোষণার আগের দিন কিরঘিজস্তানের বিশকেকে বিদেশমন্ত্রীদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আলাদ ভাবে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশিকে। কুরেশি ওই সময় সুষমাকে বলেন, ‘‘আলোচনার টেবিলে বসতে তৈরি আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy