—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গালফ-অব-মেক্সিকোর তীরবর্তী টেক্সাস প্রদেশের প্রাণকেন্দ্র এবং রাজধানী শহর অস্টিন। কলকাতা থেকে প্রায় ন’হাজার মাইল দূরের এই শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী ছোট শহর ও শহরতলিগুলি নিয়ে এক কথায় গ্রেটার অস্টিন এলাকা। কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, ত্রিপুরা, অসম ও দিল্লি-সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে বড় হওয়া প্রবাসী বাঙালি এবং বাংলাদেশের বাঙালি— সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার বাঙালির বসবাস এখানে। এত বাঙালি থাকলে দুর্গাপুজো তো হবেই। এখানকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গ্রেটার অস্টিন বঙ্গবাসী’র (জিএবিবি) দুর্গাপুজো এ বছর ছ’য়ে পা দিল। তবে অস্টিনে দুর্গাপুজোর ইতিহাস ৩০ বছরেরও বেশি পুরনো। শহরের সব থেকে পুরনো দুর্গাপুজোর আয়োজক ‘সেন্ট্রাল টেক্সাস বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশান’। অস্টিনে আরও দু’টি বড় পুজোর আয়োজন করে ‘বন্ধন: ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি’ এবং ‘বন্ধন: কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’।
এ বছর জিএবিবি-র পুজো হবে সপ্তাহান্তে ২১-২২ অক্টোবর, একটি স্থানীয় স্কুলে। মণ্ডপসজ্জার বিশেষ আকর্ষণ— ৩০ ফুট লম্বা ময়ূরপঙ্খী নৌকার আদলে তৈরি পূজাবেদী। টেক্সাসের তীব্র গরম উপেক্ষা করে সংগঠনের ১০ জন সদস্য দু’মাস ধরে কঠোর পরিশ্রমে তৈরি করেছেন ৮ ফুট উচ্চতার এই বেদী।
শনিবার সকাল থেকে পুজো শুরু। তার পরে দু’দিন ধরে কাটা ফল, গাঁথা মালা, ভোগের খিচুড়ি আর শাড়ি-পাঞ্জাবি চোখের পলকে তৈরি করে দেবে চেনা পুজোর আবহ। পুরোহিত মশাইয়ের উদাত্ত কণ্ঠে শাস্ত্রপাঠ এই পুজোর প্রাণ। পুষ্পাঞ্জলির পরেই পেটপুরে ভোগ। তার পরে সন্ধেবেলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবিবার সন্ধ্যায় মাকে বরণ করে বিদায় দেওয়ার পালা। লালপাড় সাদা শাড়ি, সিঁদুর খেলা, শুভেচ্ছা বিনিময় আর মিষ্টিমুখ — প্রতিবারের মতো এই সব চেনা দৃশ্যই ফিরে আসবে নতুন করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy