যাচাই: সেনা শিবিরে দুতের্তে। অ্যাঞ্জেলেস সিটি, ফিলিপিন্সে। ছবি: রয়টার্স।
চিন-ভারতের পরে এ বার ফিলিপিন্স।
দেশের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদ ও দেশভক্তি ছড়িয়ে দিতে এ বার জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে নতুন আইন চালু হবে ফিলিপিন্সে।
এই সংক্রান্ত একটি বিল আনা হচ্ছে। আর তাতে অনুমতি দিয়েছে পার্লামেন্টের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস।
বিলটিতে বলা হয়েছে, যখন জনসমক্ষে দেশের জাতীয় সঙ্গীত অর্থাৎ ‘লুপাঙ্গ হিনিরঙ্গ’ বেজে উঠবে, আমজনতাকেও তখন যথেষ্ট সম্মান ও শ্রদ্ধা নিয়ে সেই গানের সঙ্গে গলা মেলাতে হবে।
এ ছাড়াও ওই বিলটিতে রয়েছে—
• স্কুলের পড়ুয়াদের জাতীয় সঙ্গীতটি মনে রাখতে হবে।
• যখনই জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠবে, তখন সকলকে উঠে দাঁড়িয়ে দেশের জাতীয় পতাকার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। আর যেখানে জাতীয় পতাকা থাকবে না, সেখানে যিনি গাইছেন, তাঁর দিকে তাকাতে হবে।
• জাতীয় সঙ্গীতের কোনও রকম অপমান, বা তা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা হলে তা আইনভঙ্গের আওতায় পড়বে।
যাঁরা এই সব মানবেন না, তাঁদের ১ হাজার থেকে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এমনকী জেলও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। যদিও যথাযোগ্য সম্মান-শ্রদ্ধা নিয়ে গানটি না গাওয়া হলে কী ধরনের শাস্তি হবে, সেটা বলা হয়নি।
ফিলিপিন্সের সেনেট এবং প্রেসিডেন্টের অনুমোদন মিললে তবেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।
বিলের সমর্থক মার্লিন আলোন্তে জানাচ্ছেন, দেশের অনেক মানুষ তো জাতীয় সঙ্গীতের সব কথা জানেনও না, তাই তাঁদের মধ্যে দেশভক্তির ভাব জাগাতেই এই সিদ্ধান্ত।
এশিয়ায় শুধু ফিলিপিন্সেই নয়, ভারত ও চিনের মতো কিছু দেশেও জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কিছু নিয়মকানুন চালু হয়েছে। গত বছরই ভারতের সিনেমা হলগুলিতে বাধ্যতামূলক ভাবে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে চিনেও রয়েছে ক়ড়াকড়ি। ২০১৪ সালে চিনা সরকার আইন জারি করেছে, ভুলভাল বাতাবরণে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া চলবে না। আর গানটা পুরোপুরি গাইতে হবে। মাঝপথে গাইতে শুরু করা বা থামিয়ে দেওয়া— কোনওটাই চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy