Advertisement
E-Paper

অবতরণের আগে ডান দিকের ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ? দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় বাড়ছে রহস্য

জেজু এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ব্যাঙ্কক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসছিল। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ বিমানটিতে সমস্যা দেখা দেয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:২৭
বিমানে কি বিস্ফোরণ হয়েছিল, ভিডিয়ো ঘিরে রহস্য। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বিমানে কি বিস্ফোরণ হয়েছিল, ভিডিয়ো ঘিরে রহস্য। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

অবতরণের আগে বিমানের ডান দিকের ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়েছিল? দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনার আগে একটি ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে রহস্য বাড়ছে। (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিমানটি অবতরণের ঠিক আগেই ডান দিকের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখা যাচ্ছে। আর তা থেকেই সন্দেহ বাড়ছে কোনও পাখির ধাক্কা লেগেছিল ইঞ্জিনে। আর তার জেরেই ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। যদিও সরকারি ভাবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তবে পাখির ধাক্কার তত্ত্বই জোরালো হচ্ছে এই দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে। সে রকমই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হচ্ছে। যদিও তদন্তের রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত কোনও মন্তব্যই করতে চায়নি দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন।

জেজু এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ব্যাঙ্কক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসছিল। দক্ষিণ কোরীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ বিমানটিতে সমস্যা দেখা দেয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। অবতরণের সময় কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে সতর্ক করা হয় যে বিমানে পাখির ধাক্কা লেগেছে। সেই বার্তা পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাইলট জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। দ্বিতীয় বার অবতরণের চেষ্টা করেন পাইলট। কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ার আটকে যায়। তার পরই বিমানটিকে ‘বেলি ল্যান্ডিং’ করানোর সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। সেই অবতরণের সময়েই বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে বিমানবন্দরের পাঁচিলে ধাক্কা মারে। তার পরই আগুন ধরে যায়।

শুধু পাখির ধাক্কাই নয়, বিমানবন্দরের ছোট রানওয়েকেও এই দুর্ঘটনার জন্য অনেকে দায়ী করেছেন। রানওয়ের দৈর্ঘ্য তিন কিলোমিটার। বিমানের গতি বেশি থাকার কারণে তাই রানওয়ে থেকে ছিটকে বেরিয়ে বিমানবন্দরের পাঁচিলে গিয়ে ধাক্কা মারে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। রবিবারের এই বিমান দুর্ঘটনায় ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কাজ়াখস্তানে বিমান দুর্ঘটনার আগেও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা। বেশ কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হয়, পাখির ধাক্কায় বিমানের অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। যদিও পরে সেই তত্ত্ব ক্রমে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তত্ত্বের দিকে মোড় নিয়েছে।

South Korea Plane Crash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy