Advertisement
০৫ মে ২০২৪

উত্তাল হংকংয়ে কার্ফু জারির আর্জি পুলিশের

গত মঙ্গলবার এক বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছিল পুলিশ। তার আগে, গত রবিবার পুলিশের ছোড়া রবার বুলেটে একটি চোখ হারিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলা সাংবাদিক।

পুলিশের মুখোমুখি বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার হংকংয়ের তাইকু স্টেশনের কাছে। রয়টার্স

পুলিশের মুখোমুখি বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার হংকংয়ের তাইকু স্টেশনের কাছে। রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
হংকং শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৪
Share: Save:

সপ্তাহান্তের বিক্ষোভের ঢেউ এ বার আছড়ে পড়ল সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনেও। গত কালের মতো আজও বিক্ষোভে উত্তাল হংকংয়ের রাজপথ। বিভিন্ন জেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছে বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, হংকংয়ের বেশ কয়েকটি এলাকায় কার্ফু জারি করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে বিক্ষোভ-সমাবেশে মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্যারি ল্যামের প্রশাসনের এক আধিকারিকও।

গত মঙ্গলবার এক বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছিল পুলিশ। তার আগে, গত রবিবার পুলিশের ছোড়া রবার বুলেটে একটি চোখ হারিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলা সাংবাদিক। পর পর এই দু’টি ঘটনার পর থেকেই পুলিশ-বিরোধী বিক্ষোভ আরও বেড়েছে হংকংয়ে। হাইস্কুলের ওই ছাত্র ধাতব রড নিয়ে এক পুলিশ অফিসারের দিকে ধেয়ে যাওয়ায় আত্মরক্ষার্থে ওই অফিসার গুলি চালান বলে কাল সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন হংকংয়ের পুলিশ প্রধান স্টিফেন লো। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের একাংশের দাবি, প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে গিয়ে অতিরিক্ত কঠোর ভূমিকা নিচ্ছে পুলিশ। ওই ছাত্রটিকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। তাই প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও এখন গর্জে উঠছেন হংকংয়ের সাধারণ মানুষ।

কাল রাতে কমপক্ষে তিনটি জেলায় বিভিন্ন শপিং মলে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেট্রো স্টেশনগুলিও বিক্ষোভকারীদের নিশানায় থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিষেবা। আজ দুপুরের পর থেকে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রো চলাচল। বিভিন্ন এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, কার্ফু জারি না করলে হংকংকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। যদিও পুলিশের এই আবেদনে এখনই সাড়া দেয়নি ক্যারি ল্যামের প্রশাসন। তবে নিজেদের পরিচয় গোপন করতে বিক্ষোভকারীরা এত দিন ধরে যে মুখোশের ব্যবহার করছিলেন, তা নিষিদ্ধ করতে চলেছে প্রশাসন। এমনিতেই বিক্ষোভকারীদের সহজে চিহ্নিত করতে নীল রঙের জল

কামান ব্যবহার করা শুরু হয়েছে হংকংয়ে। এর সঙ্গে মুখোশ নিষিদ্ধ হলে ধরপাকড় আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি কার্যকর করতে প্রয়োজনে ঔপনিবেশিক আমলের জরুরি অবস্থা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। এ নিয়ে যাবতীয় ঘোষণা কাল প্রশাসনিক বৈঠকের পরেই করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hong Kong Durga Puja 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE