Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Hassan Rouhani

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান রৌহানির

ইরানের সঙ্গে পুরনো পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে সরে এসেছিলেন ট্রাম্প। তেহরানের উপর কয়েকটি নিষেধাজ্ঞাও চাপায় ওয়াশিংটন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। —ছবি এএফপি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। —ছবি এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
তেহরান শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:০৪
Share: Save:

ইরানে জনরোষ ক্রমশই বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো নাজেহাল প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ‘জাতীয় ঐক্য বজায়’ রাখার ডাক দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। যদিও পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তেহরান যে অনড় তা তিনি ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন। নয়া ‘ট্রাম্প ডিল’-এর যে প্রস্তাব ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দিয়েছেন, তাকে ‘অদ্ভুত’ বলেও কটাক্ষ করেছেন রৌহানি। দিন কয়েক আগে তেহরান স্বীকার করেছে, ইউক্রেনের যাত্রিবাহী বিমানে তারা ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। তার পর থেকেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ। যা রক্তচাপ বাড়িয়েছে ইরান প্রশাসনের। আজ সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করা হয়েছে, ক্যাবিনেট বৈঠকে রৌহানি শান্তির লক্ষ্যে ‘জাতীয় ঐক্য বজায়’ রাখার আবেদন জানিয়েছেন। সরকার-পরিচালন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর বিষয়ও বৈঠকে উল্লেখ করেছেন তিনি।

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির পরিবর্তে ইরানের কাছে যে নয়া চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছিল, তার নাম ‘ট্রাম্প ডিল’ হওয়া উচিত বলে দাবি করেছিলেন বরিস। তাঁর কথায়, ‘‘ট্রাম্প এক জন ‘অসাধারণ মধ্যস্থতাকারী’। ফলে ট্রাম্পের নামেই এই চুক্তি হওয়া উচিত।’’ রৌহানি আজ স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইরান ওই নয়া প্রস্তাব মানবে না। তাঁর কথায়, ‘‘ট্রাম্প কখনই কথা রাখেননি।’’এই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে তোলার অভিযোগে আজ ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানিকেও এক হাত নেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।

ইরানের সঙ্গে পুরনো পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে সরে এসেছিলেন ট্রাম্প। তেহরানের উপর কয়েকটি নিষেধাজ্ঞাও চাপায় ওয়াশিংটন। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে সে দেশের তেল রফতানির ক্ষেত্রে। ওয়াশিংটনের দাবি, ইরানের পরমাণু কার্যকলাপের উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখাই এই চাপ বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য। এতে যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতেও সুবিধে হবে বলে দাবি করা হয়। যদিও নিষেধাজ্ঞা তুলে না-নেওয়া পর্যন্ত মধ্যস্থতার দিকেই তারা পা বাড়াবে না বলে জানিয়েছে ইরান।

ইরানে কর্মরত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট ম্যাকেয়ার দেশে ফিরে গিয়েছেন বলেও আজ জানিয়েছে ইরানের সংবাদমাধ্যম। ইউক্রেনের বিমানে হামলায় নিহত ১৭৬ জনের স্মরণে তেহরানে মোমবাতি মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। যা পরে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের চেহারা নেয়। এর পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর পরেই ইরান ছাড়েন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hassan Rouhani Iran Ukraine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE