চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে একই মঞ্চে পরপর দু’বার মুখোমুখি হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রথমটি চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া দক্ষিণ আ্ফ্রিকার ব্রিকস সম্মেলনে। দ্বিতীয়টি ৯ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে। এই দু’টির কোনও একটিতে (বা দু’টিতেই) মোদীর সঙ্গে জিনপিংয়ের একান্ত বৈঠক হবে কি না, তা এখনও গুঞ্জনের স্তরে।
ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন পূর্ব লাদাখের ডেমচক এবং ডেপসাংয়ের একাধিক জায়গায় চিনা সেনা আগের অবস্থান থেকে এগিয়ে ভারতের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে সওয়া তিন বছর হতে চলল। নয়াদিল্লির তরফে মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে কোনও সূত্র সন্ধান করে জি২০-র মঞ্চে উঠতে। পূর্ব লাদাখ দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের কাছে গলার কাঁটা। সম্প্রতি দু’পক্ষের মধ্যে সেনা পর্যায়ের ১৯তম বৈঠকের পরেও বরফ গলেনি। সীমান্তে তিক্ততা এবং সংঘাতের পরিবেশ কিছুটা কমাতে আজ দৌলতবাগ ওল্ডি, চুসুলে মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হয়।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে সাউথ ব্লকের। শুধু তো জি২০ নয়। সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এবং তার পরে চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের পরাক্রম মোদী সরকারের দুর্বলতার চিহ্ন হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে। গত তিন বছরে সীমান্তে ভারত যে বিপুল সেনা মজুত করেছে (ও-পারে চিনও) তা রীতিমতো যুদ্ধকালীন। বায়ুসেনার হিসাব অনুযায়ী ৭০ হাজার সেনাকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পূর্ব লাদাখে সীমান্তে। প্রায় ৯ হাজার টন ট্যাঙ্ক, রাইফেল মজুত করা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকার নানা ভাবে এ-ও জানিয়েছে, সীমান্ত পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন হয়েছে অনেকটাই। সাজানো হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে। তবে ব্রিকসের ঠিক আগে আজকের মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক কোনও ইতিবাচক দিশা দেয় কি না, সে দিকে তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy