মহম্মদ মুইজ়ু। ছবি: সংগৃহীত।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেন বিরোধী প্রার্থী মহম্মদ মুইজ়ু। পাঁচ বছর ক্ষমতাসীন থাকার পর পরাজিত হতে হল বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ সোলিকে। শনিবার গভীর রাতে মলদ্বীপের নির্বাচন কমিশন জানায়, মোট বৈধ ভোটের ৫৪.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মুইজ়ু। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নির্বাচনে হার মানতে হয়েছে সোলিকে।
মলদ্বীপের এই সাধারণ নির্বাচনে নজর ছিল ভারতেরও। কারণ সোলির ‘দিল্লিঘেঁষা’ নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েই ভোটের ময়দানে নেমেছিল বিরোধী দলগুলি। বিরোধী দলগুলি সম্মলিত ভাবে মুইজ়ুকে সমর্থন জানায়, যিনি আবার ঘোষিত ‘চিনপন্থী’ বলেই পরিচিত। পরাজয়ের পরেও অবশ্য নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ়ুকে অভিন্ন্দন জানিয়েছেন সোলি।
উল্লেখ্য যে, ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ ভারতের কাছে কূটনৈতিক এবং রণকৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। সে দেশের বেশ কিছু জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সে দেশে সেনা রাখার অনুমতি আর না-ও পেতে পারে নয়াদিল্লি। বরং মলদ্বীপে প্রভাব বাড়তে পারে চিনের। ২০১৮ সাল পর্যন্ত মলদ্বীপের শাসনক্ষমতায় ছিলেন চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। তাঁর সময় চিনা ঋণ নিয়ে দেশে একাধিক পরিকাঠামোগত নির্মাণ করেন তিনি। ইয়ামিনের ভাবশিষ্য বলে পরিচিত মুইজ়ু এই সমস্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইয়ামিনকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসেন সোলি। ইয়ামিনের বিরুদ্ধে স্বৈরশাসনের অভিযোগ উঠলেও তাঁর পরাজয়ের নেপথ্যে ভারতের হাত ছিল বলে মনে করেন সে দেশের রাজনীতিরর কারবারিদের একাংশ। ভারত অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy