রাজ কপূরের পৈতৃক বাড়ি। —ফাইল চিত্র।
বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা দিলীপ কুমার ও প্রয়াত অভিনেতা রাজ কপূরের পৈতৃক বাড়ি দু’টির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকার। আগেই এই বাড়ি দু’টিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
সম্প্রতি পেশোয়ারের ডেপুটি কমিশনার খালিদ মেহমুদ বাড়ি দু’টির বর্তমান মালিকদের নোটিস পাঠিয়েছেন। আগামী ১৮ মে তাঁদের তলবও করা হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, বাড়ি দু’টির বর্তমান মালিকেরা চাইলে প্রাদেশিক সরকারের নির্ধারিত দরে আপত্তি জানাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রাদেশিক গভর্নর বা আদালত বাড়িগুলির দাম পুনরায় নির্ধারণ করবে।
পেশোয়ারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই দু’টি ‘হাভেলি’-কে ভেঙে বাণিজ্যিক কোনও ভবন বানানোর ইচ্ছে ছিল বর্তমান দুই মালিকের। কিন্তু প্রাদেশিক সরকার সেই ইচ্ছেয় জল ঢেলে দিয়ে সেগুলিকে হেরিটেজ তালিকভুক্ত করে দেয়। ১৯১৮ থেকে ’২২ সালের মধ্যে রাজ কপূরের পৈতৃক বাড়িটি বানিয়েছিলেন তাঁর ঠাকুর্দা দিওয়ান বাশেশ্বরনাথ কপূর। রাজ কপূর ও তাঁর কাকা ত্রিলোক কপূর ওই বাড়িতে জন্মেছিলেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম নিয়ে আগেই অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বাড়ি দু’টির বর্তমান মালিকেরা। ‘কপূর হাভেলির’ জন্য দেড় কোটি ও দিলীপ কুমারের পৈতৃক বাড়ির জন্য ৮০ লক্ষ টাকা দর দিয়েছিল পাক প্রাদেশিক সরকার। কিন্তু ‘কপূর হাভেলি’র বর্তমান মালিক আলি কাদির ওই বাড়ির জন্য ২০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। একশো বছরের পুরনো দিলীপ কুমারের বাড়ির বর্তমান মালিক গুল মহম্মদ রহমানও বাড়ির দর হেঁকেছিলেন সাড়ে তিন কোটি টাকা।
খাইবার পাখতুনখোয়ার পুরাতত্ত্ব বিভাগের ডিরেক্টর আবদুল সামাদ জানিয়েছেন, ইদের পরে বাড়িগুলির সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy