আমেরিকায় বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
বাংলাদেশে পালাবদলের আঁচ গিয়ে পড়ল সুদূর আমেরিকায়। নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের দূতাবাসে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা। দূতাবাসের দেওয়ালে টাঙানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি খুলে ফেলা হল। এমনই কিছু ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। গণরোষের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তার পরই বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। বর্তমানে ভারতে গোপন আস্তানায় রয়েছেন তিনি। হাসিনা দেশ ছাড়তেই দলে দলে লোক ঢাকায় তাঁর বাসভবনে ঢুকে পড়েন। চলতে থাকে যথেচ্ছ লুটপাট। শুধু তা-ই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙতে শুরু করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এমনকি, ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে মুজিবুরের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে হামলা চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া সেই ভবনে। ধ্বংসলীলার একাধিক ভিডিয়ো সোমবার থেকেই সমাজমাধ্যমের দেওয়াল দখল করে রেখেছে।
মুজিবের মূর্তি বা ছবি ভাঙার রেশ শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নেই। আমেরিকায় বাংলাদেশের দূতাবাসও ‘দখল’ করেন বিক্ষোভকারীরা। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন বিক্ষোভকারী হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ছেন দূতাবাসের মধ্যে। তাঁদের সকলের মাথাতেই বাংলাদেশের পতাকা আঁকা টুপি। তাঁরাই দূতাবাসে ভাঙচুর চালান। দেওয়ালে টাঙানো বঙ্গবন্ধুর ছবিও খুলে নেওয়া হয়। অতি উৎসাহী প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ হেন কাণ্ড নিয়ে এখনও নিউ ইয়র্ক প্রশাসন মুখ খোলেনি।
প্রসঙ্গত, বরাবরই হাসিনা সরকারের ‘কট্টর সমালোচক’ আমেরিকা। ইতিমধ্যে আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়েছে ওয়াশিংটন। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করি বাংলাদেশের আইন এবং গণতান্ত্রিক নীতিকে মাথায় রেখেই সেখানে নতুন সরকার গঠন করা হবে। সেখানে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে অবশ্যই তার তদন্ত হওয়া উচিত।’’ হাসিনাকে আমেরিকা রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে কি না জানতে চাওয়া হলে তাঁর জবাব, “হাসিনা আমেরিকার সরকারের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন বলে অন্তত আমার কিছু জানা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy